ইসলাম কায়েম হলে চাঁদাবাজি ও অবিচার থাকবে না: চরমোনাই পীর

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, দেশের মানুষের ৫৩ বছরের আশা, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচার এখনও পূর্ণ হয়নি। আমরা বিএনপি, আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি দেখেছি, কিন্তু ইসলাম আমরা দেখিনি। দেশের মানুষের জন্য একবার ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠার সুযোগ চাই। ইসলাম কায়েম হলে দেশে আর মায়ের কোল খালি থাকবে না, চাঁদাবাজি ও অবিচার থাকবে না।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) বরিশালের বেলস পার্ক মাঠে অনুষ্ঠিত আট দলের বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
পীর মুফতি রেজাউল করীম সমাবেশে বিগত সরকারের দুর্নীতি, অর্থপাচার এবং ১৯৭১ সালের পরবর্তী গণঅভ্যুত্থানের পর পরিস্থিতি নিয়ে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
তিনি বলেন, ক্ষমতালোভী রাজনীতিবিদরা মানুষের হাজার হাজার মায়ের কোলকে সন্তানহারা করেছেন, দেশের অর্থ বিদেশে পাচার করেছেন, আমাদের দেশকে বারবার চোরের দিক থেকে বিশ্বের সামনে প্রকাশ করেছে। আজকের সমাবেশ থেকে তাদেরকে বার্তা দিতে চাই—চাঁদাবাজদের, খুনিদের, বিদেশে টাকা পাচারকারীদের আর বাংলাদেশের জমিনে স্থান হবে না।
বিজ্ঞাপন
তিনি ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে যারা জীবন দিয়েছে বা আহত হয়েছে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, এখনো মায়ের কান্না বন্ধ হয়নি। যারা দেশকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে, তাদের জায়গা বাংলাদেশের মাটিতে হবে না। আমাদের দেশের মানুষ তাদের উৎখাত করবে এবং মানবতা প্রতিষ্ঠা করবে।
চরমোনাই পীর বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা গণঅভ্যুত্থানে ঝুঁকি নিয়েছি, কিন্তু চাঁদাবাজি দেখার জন্য নয়। আমাদের লক্ষ্য মানুষের ন্যায়বিচার ও শান্তি প্রতিষ্ঠা।
বিজ্ঞাপন
তিনি দেশের বর্তমান রাজনৈতিক নেতা ও সরকারের প্রতি তীব্র সমালোচনা করে বলেন, ৫৩ বছরে বারবার দেখেছি, ক্ষমতার লোভে সুন্দর কথা বলে মানুষকে ব্যবহার করা হয়েছে, মানবতা ও ইসলামের নীতিকে জবাই করা হয়েছে, দেশের উন্নয়ন ব্যাহত হয়েছে এবং অর্থ বিদেশে পাঠানো হয়েছে।
সমাবেশ শেষে পীর মুফতি রেজাউল করীম বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, জামায়াত নেতা ডা. আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এবং অন্যান্য অসুস্থ ব্যক্তিদের সুস্থতা কামনা করে দোয়া করেন।
বিজ্ঞাপন
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। এতে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির নেতারা বক্তব্য রাখেন।








