নার্সদের প্রতিটি সেবা যেন ইবাদতের মনোভাব নিয়ে হয়: জামায়াত আমির

নার্সিং পেশাকে মানবসেবার সর্বোচ্চ দায়িত্ব হিসেবে তুলে ধরে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, নার্সদের প্রতিটি সেবা যেন ইবাদতের মনোভাব নিয়ে হয়। তার মতে, রোগীর কাছে নার্সই প্রথম আশ্রয়– তাদের আচরণ, নীতি ও মানবিকতা পুরো স্বাস্থ্যব্যবস্থার মান নির্ধারণ করে।
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (০৫ ডিসেম্বর) রাজধানীতে জাতীয় নার্সেস সম্মেলনে নার্সদের প্রতি এ আহ্বান জানান জামায়াতের প্রধান।
রাজধানীর মিন্টু রোডের শহীদ আবু সাঈদ কনভেনশন হলে ন্যাশনাল নার্সেস ফোরাম (এনএনএফ) এ জাতীয় সম্মেলনের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এনএনএফের আহ্বায়ক ড. মো. ইউনুছ আলী।
বিজ্ঞাপন
নার্সিংকে শুধু পেশা নয়, আত্মিক দায়িত্বের জায়গা থেকে দেখার আহ্বান জানিয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, নার্সই রোগীর পাশে প্রথম দাঁড়ায়, শেষেও তারা থাকেন। তাই এই পেশায় থাকা মানুষদের প্রতিটি কাজের ভেতর মানবিকতা ও নৈতিকতা থাকা জরুরি।
জামায়াত আমির বলেন, আপনাদের কাজটাকে ইবাদত হিসেবে গ্রহণ করুন। জাতি যেন বুঝতে পারে– এরাই আমাদের প্রিয়জন, এরাই আমাদের আপনজন। একজন নার্স হাসলে রোগীর অর্ধেক কষ্ট কমে যায়। নার্সকে দেখেই মানুষ হাসপাতালে আস্থায় থাকে।
তিনি স্বাস্থ্যব্যবস্থার মান নির্ধারণে নার্সদের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন।
বিজ্ঞাপন
নৈতিকতার গুরুত্ব নিয়ে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, শুধু আইন করে কাউকে বদলানো যায় না। নীতি-নৈতিকতা না বদলালে সমাজ বদলায় না। আমরা নৈতিকতার চর্চা করতে চাই, সেই শক্তি বাড়াতে চাই ১৮ কোটি মানুষের ভেতরে।
রাজনৈতিক অঙ্গনে তার দলের অগ্রাধিকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জামায়াত ক্ষমতায় গেলে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যই আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার। আমরা যদি সরকারে নাও থাকি, জনস্বার্থের কথা বলা থামাব না, আওয়াজ তুলতেই থাকব।
বিজ্ঞাপন
ব্রুনাইয়ের সুলতানের উদাহরণ টেনে তিনি আরও বলেন, ব্রুনাইয়ের সুলতান নিজের পেট নিয়ে ভাবেন না, জনগণের পেট ভরানোর চিন্তা করেন। আমরাও সরকারি দলে বা বিরোধী দলে থাকি– জনগণের স্বার্থে একই অবস্থান নেব।
সম্মেলনে ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরামের (এনডিএফ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম, এনডিএফের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. সাজেদ আ. খালেক ও ঢাকা মহানগরী সভাপতি ডা. জিএম ফারুক হোসেন নার্সদের দক্ষতা, প্রশিক্ষণ, কর্মপরিবেশ ও পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
এছাড়াও বক্তব্য দেন বারডেম নার্সিং কলেজের আহত জুলাইযোদ্ধা মো. শাহরিয়াতুর রহমান শিপু, এনএনএফের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, দক্ষিণ সিটির সভাপতি মো. নিয়াজ মাখদুম, উত্তরের সভাপতি আলাউদ্দিন ইবনে আবু তাহের, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ফোরামের সভাপতি সোহেল রানা, বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড. মো. শরিফুল ইসলাম ও মহাসচিব মো. আসাদুজ্জামান জুয়েল।
বিজ্ঞাপন
বক্তারা আরও বলেন, নার্সিং পেশায় অবকাঠামো, প্রশিক্ষণ, সম্মান ও নিরাপত্তা একসঙ্গে শক্তিশালী না হলে স্বাস্থ্যসেবার গুণগত পরিবর্তন আসবে না। সমন্বিত নীতিমালা, আধুনিক শিক্ষা ও পেশাগত মর্যাদা নিশ্চিত করাই এ খাতের প্রধান চ্যালেঞ্জ।








