শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত, মেডিসিন গ্রহণ করছেন খালেদা জিয়া

রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা গত কয়েকদিন ধরে অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে তিনি তাকে দেওয়া চিকিৎসা ও মেডিসিন গ্রহণ করতে পারছেন, যা কিছুটা উন্নতির ইঙ্গিত।
বিজ্ঞাপন
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক চিকিৎসক জানান, গত কয়েক দিন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা অপরিবর্তিত থাকলেও তিন মেডিসিন গ্রহণ করতে পারছেন। এটাকে পরোক্ষভাবে উন্নতিও বলা যেতে পারে।
চিকিৎসকরা আশা করছেন, তার শারীরিক অবস্থার নতুন কোনো অবনতি না হলে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সুস্থ হয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবি এম আব্দুস সাত্তার বলেন, ভালো-মন্দ মিলিয়ে ম্যাডামের অবস্থা আগের মতোই আছে।
বিজ্ঞাপন
বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, মেডিক্যাল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে ম্যাডামের চিকিৎসা অব্যাহত আছে। আগে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সহধর্মিণী ডা. জোবায়দা রহমান লন্ডন থেকে সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর নিতেন। বর্তমানে তিনি দেশে এসে হাসপাতালে গিয়ে মেডিক্যাল বোর্ডের সঙ্গে মিলিত হয়ে নিবিড়ভাবে চিকিৎসার তত্ত্বাবধান করছেন।
ডা. রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, গতকালের চ্যালেঞ্জের পরও মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকরা দিনরাত পরিশ্রম করে ম্যাডামের চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছেন। দেশের মানুষ যেন গুজবের প্রতি ভ্রান্ত না হন, তার জন্য আমরা সবাইকে সতর্ক করছি এবং দোয়া চাই।
বিজ্ঞাপন
খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন নেওয়ার বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। বিএনপির পক্ষ থেকে কয়েকবার তার বিদেশ যাত্রার তারিখ ঘোষণা করা হলেও, শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করেই ফাইনাল সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, বিদেশে নেওয়ার জন্য সব প্রস্তুতি রয়েছে। তবে মেডিক্যাল বোর্ডের অনুমোদন প্রয়োজন এবং শারীরিকভাবে নিরাপদ যাত্রা সম্ভব কি না, তা আমাদের নির্ধারণ করবে।
বিজ্ঞাপন
তিনি জানান, শুক্রবারের এয়ার অ্যাম্বুলেন্স কারিগরি কারণে আসেনি এবং মেডিক্যাল বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তখন বিমানযাত্রা সঠিক হবে না।
৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, কিডনি, ডায়াবেটিস ও আর্থ্রাইটিসসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। ২৩ নভেম্বর থেকে তিনি ঢাকার এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ২৭ নভেম্বর তার অবস্থা সংকটাপন্ন হলে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে নিয়ে নিবিড় চিকিৎসা দেওয়া হয়। এরপর দেশীয় চিকিৎসক টিমের সঙ্গে যুক্ত হন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের চিকিৎসকরা।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কোনো নতুন অবনতি না হলে তিনি ধীরে ধীরে সুস্থ হতে পারবেন। তবে বিদেশে নেওয়া ও উন্নত চিকিৎসা শুরু করার সময় নির্ভর করছে তার বর্তমান শারীরিক সক্ষমতার ওপর।








