দুর্নীতি-সন্ত্রাস-ফ্যাসিজমের অভিযোগ পেলে মনোনয়ন বাতিল হবে: নাহিদ

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর বাংলামোটরে দলের অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, আমরা কোনো আসন বিশেষ কারও জন্য ফাঁকা রাখিনি। প্রাথমিকভাবে যে প্রার্থীদের মনোনয়ন বোর্ড চূড়ান্ত করেছে, আমরা সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে প্রক্রিয়াটি জনগণের কাছে উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। যদি কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আসে, তবে প্রার্থিতা বাতিল করা হবে। এই প্রক্রিয়া চলমান থাকবে।

আরও পড়ুন: তারেক রহমান / রাজনীতির চেয়েও প্রয়োজন ঐক্যবদ্ধ দেশ, থাকবে কথা বলার স্বাধীনতা

তিনি আরও জানান, শাপলাকলির প্রাথমিক মনোনয়নে যারা বিবেচিত হয়েছেন তাদের অভিনন্দন জানাচ্ছি। যারা প্রাথমিক তালিকায় আসতে পারেননি বা প্রত্যাশা অনুযায়ী আসেননি, তাদের ক্ষেত্রেও বিবেচনা করা হবে।

নাহিদ ইসলাম বলেন, আমাদের আহ্বান ছিল সাধারণ মানুষ, রাজনীতি সচেতন ব্যক্তি, গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী এবং বাংলাদেশের পরিবর্তনকামী মানুষদের মনোনয়ের জন্য উৎসাহিত করা। তাই আমাদের তালিকায় দলের বাইরে থেকেও শিক্ষক, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, প্রবাসী বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন পেশার মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, আমাদের প্রাথমিক ১২৫ প্রার্থীর তালিকায় নারী, পুরুষ, সংখ্যালঘু ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার সমন্বয় বজায় রাখা হয়েছে। ৩০০ আসনে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়ার সময়ও এই অনুপাত মেনে চলা হবে। এখনও যে আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি বা কোনো প্রার্থী পরিবর্তনের সুযোগ আছে, সেসব ক্ষেত্রে বিবেচনা করা হবে।

আরও পড়ুন: এনসিপির প্রথম দফার তালিকায় কোন আসনে কে লড়ছেন?

নাহিদ ইসলাম পুনর্ব্যক্ত করেন, যেসব প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যায়, তাদের মনোনয়ন বাতিল করা হবে। এছাড়া নতুনভাবে ভালো প্রার্থী পাওয়া গেলে তাকে মনোনয়ন দেওয়ার প্রক্রিয়াও চলবে।

এর আগে, দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেন ১২৫ জন দলীয় প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছিলেন।

এনসিপি আহ্বায়ক বলেন, প্রাথমিক তালিকা শুধুমাত্র প্রথম ধাপ, চূড়ান্ত ৩০০ আসনের জন্য মনোনয়ন প্রক্রিয়া এখনও চলমান থাকবে।