ওসমান হাদির ওপর হামলা বাংলাদেশের ওপর হামলা: সালাহউদ্দিন

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরপরই একজন সম্ভাব্য জাতীয় সংসদ সদস্য প্রার্থীর ওপর হামলা হয়েছে। হামলার ধরন থেকে বোঝা যাচ্ছে এটি পেশাদারভাবে পরিকল্পিত। আমরা ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য অটুট রাখবো এবং সুদৃঢ় করবো। রাজনৈতিক বিতর্ক হতে পারে, কিন্তু ঐক্য নষ্ট করতে দেবো না।

আরও পড়ুন: ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরবো না’

সালাহউদ্দিন আরও বলেন, আমাদের লক্ষ্য জুলাই-২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের চেতনা অটুট রাখা। পতিত ফ্যাসিবাদকে আমরা বার্তা দিতে চাই যে, এই ধরনের হামলা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।

তিনি এও উল্লেখ করেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দীর্ঘ ১৮ বছর পর ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন। তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকারকে আহ্বান জানানো হয়েছে।

তিনি বলেন, কোনো আশঙ্কাকে উড়িয়ে দিচ্ছি না। সরকারের দায়িত্ব আছে, রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্ব আছে। জনগণ, যৌথ বাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা একত্রিতভাবে কাজ করলে এই ধরনের ঘটনা প্রতিহত করা সম্ভব।

গতকাল (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগরে ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। গুরুতর আহত হাদি প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

আরও পড়ুন: ২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন তারেক রহমান

এভারকেয়ার হাসপাতালে তার চিকিৎসার সঙ্গে যুক্ত বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান জানান, বাম কানের ওপর দিয়ে ঢুকে ডান পাশ দিয়ে বের হওয়া গুলি হাদির মস্তিষ্কের ব্রেন স্টেম পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, যা চিকিৎসাবিজ্ঞানে ‘ম্যাসিভ ব্রেন ইনজুরি’ হিসেবে বিবেচিত।

তিনি বলেন, আগামী ৭২ ঘণ্টা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ, তাই আপাতত কোনো নতুন হস্তক্ষেপ করা হবে না। বর্তমানে হাদিকে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসে রাখা হয়েছে। চিকিৎসকেরা এখনও আশার নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না।