সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কেবল একাই ভাষণ দেবেন তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি নিজে ছাড়া আর কেউ বক্তব্য দেবেন না—এ কথা স্পষ্ট করে জানিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। আয়োজনে জনদুর্ভোগ এড়ানো এবং সংক্ষিপ্ত কর্মসূচির নীতিই অনুসরণ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন সালাহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, তারেক রহমান এমন কোনো কর্মসূচির পক্ষে নন, যা সাধারণ মানুষের চলাচল বা দৈনন্দিন জীবনে ভোগান্তির কারণ হয়। এ কারণেই তিনি লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে দলীয় নেতাকর্মীদের উপস্থিত না থাকতে আগেই নির্দেশ দিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
সালাহউদ্দিন আহমেদ আরও জানান, তারেক রহমানের দেওয়া নির্দেশনা অনুসরণে বাংলাদেশেও সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়েছে, যদিও শতভাগ বাস্তবায়ন সব ক্ষেত্রে সম্ভব হয়নি। তারেক রহমানের ইচ্ছা, দেশে ফিরেই বিমানবন্দর থেকে সরাসরি হাসপাতালে গিয়ে অসুস্থ মায়ের খোঁজ নেওয়া, এরপর পিতা ও ভাইয়ের কবর জিয়ারত করা।
তিনি বলেন, স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের তারিখ এমনভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে, যাতে টানা তিন দিন সরকারি ছুটির মধ্যে পড়ে এবং জনসমাগম ও যানজটের ঝুঁকি কম থাকে। সেই ধারাবাহিকতায় রাজধানীর কেন্দ্রস্থল সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বা মানিকমিয়া অ্যাভিনিউতে কোনো কর্মসূচি রাখা হয়নি।
বিজ্ঞাপন
বিএনপির এই নেতা জানান, রাজধানীর এক পাশে অবস্থিত প্রশস্ত ৩৬ জুলাই মহাসড়কের সার্ভিস লেনের একাংশে সংবর্ধনার স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। সেখানে সংক্ষিপ্ত আয়োজনে দেশবাসীর প্রতি তারেক রহমানের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হবে। পাশাপাশি দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য দোয়া এবং দেশের মানুষের কল্যাণ কামনা করা হবে।
সালাহউদ্দিন আহমেদ স্পষ্ট করে বলেন, এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তারেক রহমান ছাড়া দ্বিতীয় কোনো বক্তা থাকবেন না। পুরো আয়োজনের লক্ষ্য থাকবে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রেখে একটি সংক্ষিপ্ত ও অর্থবহ কর্মসূচি সম্পন্ন করা।








