দীর্ঘ নির্বাসনের পর দেশের উদ্দেশে রওনা হলেন তারেক রহমান

দীর্ঘ দেড় দশকের নির্বাসিত জীবন কাটানোর পর অবশেষে দেশে ফিরে আসলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে তিনি লন্ডনের বাসভবন থেকে হিথ্রো বিমানবন্দরের উদ্দেশে যাত্রা করেন।
বিজ্ঞাপন
পরিবারের সঙ্গে তিনি বাংলাদেশ বিমানের একটি নিয়মিত বাণিজ্যিক ফ্লাইটে দেশে ফিরছেন। তার সঙ্গে রয়েছেন স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান এবং মেয়ে জাইমা রহমানসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্য।
তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে ঘিরে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। ফ্লাইটটি সিলেটে যাত্রাবিরতির পর আগামী বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। সেখানে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভ্যর্থনা জানাবেন।
বিজ্ঞাপন
বুধবার দুপুরে গুলশানের বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ তারেক রহমানের তিন দিনের কর্মসূচি জানান।
তিনি বলেন, বিমানবন্দরে অবতরণের পর দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা তাকে স্বাগত জানাবেন। এরপর জুলাই এক্সপ্রেসওয়ে এবং ৩০০ ফিট রাস্তায় সংবর্ধনাস্থলে পৌঁছে তিনি নেতা-কর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। একই দিনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেখতে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন। এরপর বিমানবন্দর সড়ক হয়ে কাকলীর মোড় হয়ে গুলশান–২ নম্বরে বাসভবনে চলে আসবেন।
পরের দিন, ২৬ ডিসেম্বর, জুমার নামাজের পর তারেক রহমান শেরেবাংলা নগরে শহীদ জিয়াউর রহমানের কবর জিয়ারত করবেন। এরপর সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।
বিজ্ঞাপন
২৭ ডিসেম্বর শনিবারও তার দুইটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি রয়েছে। তিনি জাতীয় পরিচয়পত্রের কাজ সম্পন্ন করবেন এবং ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করবেন। সেইদিনই শহীদ ওসমান হাদির কবর জিয়ারত ও শ্যামলীর পঙ্গু হাসপাতালে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। তারেক রহমানের অন্যান্য কর্মসূচির বিস্তারিত পরে প্রকাশ করা হবে।
এভাবে দীর্ঘ নির্বাসনের পর দেশে ফিরেই তারেক রহমানের তিন দিনের ব্যস্ত কর্মসূচি শুরু হবে, যা দলের নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ ও উৎসাহ তৈরি করেছে।








