মাকে দেখতে এভারকেয়ারের পথে তারেক রহমান

দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরে রাজধানীর পূর্বাচল ৩০০ ফিটে আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেওয়ার পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মাকে দেখতে এভারকেয়ার হাসপাতালে রওনা দিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা ১৮ মিনিটে সংবর্ধনা মঞ্চ ত্যাগ করে তিনি এভারকেয়ারের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। এর আগে দুপুর পৌনে চারটার দিকে লাল-সবুজ রঙে সজ্জিত একটি বাসে করে সমাবেশস্থলে পৌঁছান তিনি। বিমানবন্দর থেকে রওনা হওয়ার প্রায় চার ঘণ্টা পর সংবর্ধনাস্থলে পৌঁছান তারেক রহমান। সেখানে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্যে তারেক রহমান বলেন, প্রথমেই রাব্বুল আলামিনের প্রতি শোকরিয়া আদায় করছি। মহান রাব্বুল আলামিনের দোয়ায় মাতৃভূমিতে ফিরে এসেছি। ১৯৭১ সালে দেশের মানুষ যেমন স্বাধীনতা অর্জন করেছিল, ২০২৪ সালে তেমনই সর্বস্তরের মানুষ, ছাত্র-জনতা, শ্রমিক, কৃষক, নারী-পুরুষ সবাই মিলে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করেছে। মানুষের কথা বলার অধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনাই আমাদের লক্ষ্য।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, সকলে মিলে দেশ গড়ার সময় এসেছে। আমাদের দেশে পাহাড়ের মানুষ, সমতলের মানুষ, মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান—সবাই মিলেমিশে একটি নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে হবে। যেখানে একজন নারী, পুরুষ বা শিশু নিরাপদে ঘর থেকে বের হতে পারবে এবং নিরাপদে ফিরে আসতে পারবে।
শহীদ ওসমান হাদীর কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ওসমান হাদি চেয়েছিলেন দেশের মানুষ তাদের অর্থনৈতিক অধিকার ফিরে পাক। ১৯৭১ সালে যারা শহীদ হয়েছেন এবং ২০২৪ সালে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের রক্তের ঋণ শোধ করতে হলে প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। তরুণ প্রজন্মই দেশের ভবিষ্যত গড়ে তুলবে। গণতান্ত্রিক ও শক্তিশালী অর্থনৈতিক ভিত্তির ওপর দেশকে গড়ে তুলতে হবে। আমরা দেশের শান্তি চাই।
বিজ্ঞাপন
উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে রওনা হয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট সকাল ৯টা ৫৫ মিনিটে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সেখান থেকে কিছুক্ষণ যাত্রাবিরতি নিয়ে বেলা ১১টা ১২ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়। এই যাত্রায় তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও কন্যা ব্যারিস্টার জাইমা রহমান।








