তারেক রহমানের নেতৃত্বে আগামী নির্বাচনে জয়ী হবে বিএনপি: ফখরুল

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দীর্ঘ ১৭ বছরের প্রবাসজীবন শেষে দেশে ফেরেন তারেক রহমান। রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লাল-সবুজ রঙে সাজানো একটি বিশেষ বাসে করে তিনি পূর্বাচলের ৩০০ ফিট এলাকায় আয়োজিত গণসংবর্ধনাস্থলে পৌঁছান। সেখানে তাকে স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বিএনপি মহাসচিব।

গণসংবর্ধনা মঞ্চে বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি দীর্ঘ ও কঠিন রাজনৈতিক পথ অতিক্রম করেছে। তিনি দাবি করেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট তারেক রহমানের নেতৃত্বেই একটি ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসান ঘটে।

আরও পড়ুন: মঞ্চে বিশেষ আসন সরিয়ে সাধারণ চেয়ারে বসলেন তারেক রহমান

তিনি আরও বলেন, সামনে যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, তাতে বিএনপি জনগণের সমর্থন নিয়ে বিজয়ী হবে। আগামী ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে তারেক রহমানের নেতৃত্বেই বিএনপি সরকার গঠন করবে—এমন প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেন তিনি।

দীর্ঘ সময় পর দলের শীর্ষ নেতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ঘিরে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয় গণসংবর্ধনাস্থলে। মঞ্চে উঠেই হাত নেড়ে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ভালোবাসার জবাব দেন তারেক রহমান। তার বক্তব্যে একটি নিরাপদ, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ের কথা উঠে আসে।

জনতার উদ্দেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তারেক রহমান বলেন, মার্টিন লুথার কিং যেমন বলেছিলেন ‘আই হ্যাভ এ ড্রিম’, তেমনি তিনি দেশের মানুষের সামনে ঘোষণা করেন— ‘আই হ্যাভ এ প্ল্যান’।

তিনি জানান, এই পরিকল্পনা দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন ও দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যেই প্রণীত।

আরও পড়ুন: তারেক রহমানের ফেসবুক পোস্টে সুরা আলে ইমরানের আয়াত

তিনি আরও বলেন, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য দেশের প্রতিটি মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন। জনগণ পাশে থাকলেই কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় গ্রেপ্তার হন তারেক রহমান। এক বছর কারাভোগের পর ২০০৮ সালে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও কন্যা জাইমা রহমানকে সঙ্গে নিয়ে যুক্তরাজ্যে যান তিনি। এরপর থেকে দীর্ঘ সময় তিনি লন্ডনে অবস্থান করেন।

দীর্ঘ প্রতীক্ষা শেষে দেশে ফেরার পথে বাংলাদেশের আকাশসীমায় প্রবেশের পর নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক আবেগঘন পোস্টে তারেক রহমান লেখেন— ‘দীর্ঘ ৬ হাজার ৩১৪ দিন পর বাংলাদেশের আকাশে!’