হাদিসহ আন্দোলনের শহীদদের রক্তের ঋণ শোধ করতে হবে: তারেক রহমান

নিহত ওসমান হাদিকে শহীদ হিসেবে উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ওসমান হাদি ছিলেন একটি সাহসী প্রজন্মের প্রতিনিধি, যিনি দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক ও অর্থনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করাই আজকের প্রজন্মের দায়িত্ব।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ৩০০ ফিট সড়কে আয়োজিত বিশাল গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, ২০২৪ সালের আন্দোলনে যারা জীবন উৎসর্গ করেছেন—ওসমান হাদিসহ, একইভাবে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছেন এবং বিগত স্বৈরাচারী শাসনামলে যারা গুম ও খুনের শিকার হয়েছেন—তাদের সবার রক্তের ঋণ আমাদের শোধ করতে হবে। এই ঋণ পরিশোধের একমাত্র পথ হলো একটি গণতান্ত্রিক, বৈষম্যহীন ও ন্যায্য রাষ্ট্র গড়ে তোলা।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, শহীদদের আত্মত্যাগ বৃথা যেতে পারে না। তাদের কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। এমন একটি রাষ্ট্র গঠনের আহ্বান জানান তিনি, যেখানে মানুষ স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ করতে পারবে এবং ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত হবে।
বক্তব্যে তরুণ সমাজের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, এখনো নানা আধিপত্যবাদী শক্তি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। এ অবস্থায় ধৈর্য ও সচেতনতা সবচেয়ে জরুরি।
তিনি বলেন, তরুণ প্রজন্মই আগামী দিনে দেশ পরিচালনার নেতৃত্ব দেবে। গণতন্ত্রকে শক্ত ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে এবং অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে তাদেরই অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।
বিজ্ঞাপন
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসন শেষে দেশে ফিরে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, স্বৈরাচারী শাসনামলে অসংখ্য মানুষ অন্যায়ভাবে গুম ও হত্যার শিকার হয়েছেন। সেই অন্ধকার অধ্যায়ের অবসান ঘটিয়ে একটি মানবিক ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নির্মাণ করাই এখন সময়ের দাবি।
এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর থেকেই রাজধানীতে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। লাখো মানুষের ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা গ্রহণ করতে করতে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তিনি ৩০০ ফিট এলাকার সংবর্ধনাস্থলে পৌঁছান। এর আগে দেশের আকাশে প্রবেশের মুহূর্তে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আবেগঘন বার্তায় তিনি উল্লেখ করেন, দীর্ঘ ৬ হাজার ৩১৪ দিন পর আবার বাংলাদেশের আকাশ দেখার অনুভূতির কথা।
বিজ্ঞাপন
অনুষ্ঠান শেষে তিনি সরাসরি হাসপাতালে গিয়ে অসুস্থ মা বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে জানান। মা ও ছেলের এই পুনর্মিলন ঘিরে হাসপাতাল চত্বরেও জড়ো হন অসংখ্য শুভানুধ্যায়ী।








