রাষ্ট্রীয় মর্যদায় শেষ বিদায়, গার্ড অব অনার পেলেন খালেদা জিয়া

সাবেক প্রধানমন্ত্রী, গণতন্ত্রের আপসহীন নেত্রী এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন শেষে সশস্ত্র বাহিনীর গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) বিকেলে সংসদভবন সংলগ্ন জিয়া উদ্যানে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও তার স্বামী শহীদ জিয়াউর রহমানের কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়।
দাফনের পর বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর প্রধানরা মরহুমার প্রতি সশস্ত্র সালাম জানান, যা তার রাজনৈতিক জীবন ও দেশের প্রতি অবদানের প্রতি রাষ্ট্রের শ্রদ্ধা প্রকাশ করে।
বিজ্ঞাপন
এর আগে বিকেল তিনটায় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এবং সংসদ ভবনের মাঠে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় খালেদা জিয়ার জানাজা নামাজ সম্পন্ন হয়। জানাজায় অংশ নেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা, বিদেশি কূটনীতিক এবং লাখ লাখ সাধারণ মানুষ।
দীর্ঘদিন রাজনৈতিক নিপীড়ন এবং কারাভোগের মধ্য দিয়ে জীবন কাটানোর পর বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। করোনার কারণে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি পেলেও গুলশানের ভাড়া বাসা ‘ফিরোজা’য় অবস্থান করতে হয়েছে। চিকিৎসার অভাবে ধীরে ধীরে হৃদরোগ, ডায়বেটিস, আর্থ্রাইটিস, লিভার সিরোসিস ও কিডনির জটিলতা দেখা দেয়।
বিজ্ঞাপন
২০২৪ সালের জুলাইয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে সম্পর্কিত দেশব্যাপী আন্দোলনে তার রাজনৈতিক ভূমিকা ও সরকারের পরিবর্তনসহ নানা ঘটনার পর ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে মুক্তি দেন।
উন্নত চিকিৎসার জন্য ৭ জানুয়ারি লন্ডনে যান এবং ১১৭ দিন অবস্থান শেষে দেশে ফেরেন। তবে দীর্ঘ অসুস্থতার ফলে অবস্থা গুরুতর হয়ে যায় এবং ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ৩০ ডিসেম্বর ভোর ৬টায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।








