কিয়ামতের দিন যার চেয়ে উত্তম আমলকারী কেউ হবে না

ক্ষণস্থায়ী পৃথিবী মুমিনের জন্য পরীক্ষার ময়দানের মতো। পরকালে সফল হতে অবশ্যই এই পরীক্ষায় সবাইকে সফলকাম হতে হবে। এরপরই মিলবে কাঙ্ক্ষিত জান্নাত। পবিত্র কুরআন শরীফে খোদ মহান রব ঘোষণা দিয়েছেন, ‘হে নবী আপনি তাদের বলে দিন- যদি তোমরা আল্লাহকে ভালোবাসো, তাহলে আমার অনুসরণ করো, আল্লাহ তোমাদের ভালবাসবেন এবং তোমাদের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেবেন। আর আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু’ (সুরা আল-ইমরান, আয়াত: ৩১)।
বিজ্ঞাপন
অপর আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, ‘জমিনের ওপর যা কিছু আছে আমি সেগুলোর শোভাবর্ধন করেছি, যাতে আমি মানুষকে পরীক্ষা করতে পারি যে, আমলের ক্ষেত্রে কারা উত্তম।’ (সুরা কাহাফ, আয়াত: ৭)
এজন্য পরকালে সফলকাম হতে বিভিন্ন সময়ে বর্ণিত হাদিস শরীফে উম্মতদের বিভিন্ন বিষয়ে যেমন আদেশ-নিষেধের কথা জানিয়েছেন নবীজি, তেমনি বাতলে দিয়েছেন মহান রবের সন্তুষ্টি অর্জনের পথও। এরমধ্যে একটি হাদিসে কিয়ামতের দিন সবচেয়ে উত্তম আমলকারীর বিষয়ে বর্ণনা এসেছে।
বিজ্ঞাপন
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসটি হলো, রাসুল (সা) বলেছেন- যে ব্যক্তি সকালে ও সন্ধ্যায় ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী’ (سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ- অর্থ: আল্লাহ পবিত্র ও সমস্ত প্রশংসা তাঁরই) একশ’ বার পাঠ করে পাঠ করবে কিয়ামতের দিনে তার চেয়ে উত্তম আমলে কেউ আসবে না। তবে সে ছাড়া, যে ব্যক্তি তদনুরূপ আমল করে কিংবা তার চেয়ে আরও বেশি আমল করে। (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ৬৫৯৯)
তিরমিজির একটি হাদিসেও এ বিষয়ে বর্ণনা এসেছে- প্রিয় নবী (সা.) বলেছেন, যে লোক সকালে ও বিকেলে একশত বার বলে- ‘সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহী’, কিয়ামতের দিন তার চাইতে উত্তম (আমলকারী) আর কেউ হবে না। তবে যে লোক তার ন্যায় কিংবা তার চাইতে অধিক পরিমাণ তা বলে (সে উত্তম আমলকারী বলে গণ্য হবে)। (সুনান আত তিরমিজি, হাদিস: ৩৪৬৯)








