পবিত্র হাদিসের আলোকে দোয়া কবুলের ১০টি সেরা সময়

মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে এরশাদ করেছেন, আর যখন আমার বান্দাগণ তোমাকে আমার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবে, আমি তো নিশ্চয় নিকটবর্তী। আমি আহবানকারীর ডাকে সাড়া দেই, যখন সে আমাকে ডাকে। সুতরাং তারা যেন আমার ডাকে সাড়া দেয় এবং আমার প্রতি ঈমান আনে। আশা করা যায় তারা সঠিক পথে চলবে। (সুরা আল-বাকারা, আয়াত : ১৮৬)
বিজ্ঞাপন
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, দোয়া ইবাদতের মূল। (তিরমিজি)
দোয়ার মাধ্যমে বান্দা ও রবের মাঝে সম্পর্ক গভীর হয়। তবে কিছু বিশেষ সময় আছে, যখন দোয়া কবুল হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। হাদিসে বর্ণিত এমন ১০টি সময় তুলে ধরা হলো এখনো—
১. রাতের শেষ তৃতীয়াংশে
বিজ্ঞাপন
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যখন রাতের শেষ অংশ আসে, তখন মহান আল্লাহ পৃথিবীর নিকটবর্তী আসমানে অবতরণ করেন এবং বলেন, ‘কেউ কি আছে, যে আমাকে ডাকবে, আমি তার ডাকে সাড়া দেব? কেউ কি আছে, যে কিছু চাইবে, আমি তা দেব? কেউ কি আছে, যে ক্ষমা চাইবে, আমি তাকে ক্ষমা করব? (বুখারি)
২. গভীর রাতে
বিজ্ঞাপন
রাতের এমন একটি মুহূর্ত আছে, যখন কোনো মুসলমান দুনিয়া বা আখিরাতের কল্যাণ কামনা করলে আল্লাহ তা কবুল করেন। (মুসলিম)
৩. আজান ও একামতের মাঝে
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, আজান ও ইকামাতের মধ্যবর্তী সময়ে দোয়া ফেরত দেয়া হয় না। সুতরাং তোমরা দোয়া কর।(তিরমিজি)
বিজ্ঞাপন
৪. নামাজে সিজদার সময়
রাসুল (সা.) বলেছেন, বান্দা আল্লাহর সবচেয়ে নিকটবর্তী হয় যখন সে সেজদারত থাকে। সুতরাং তোমরা এ সময় বেশি করে দো কর। (আবু দাউদ ও নাসায়ী)
৫. জুমার দিনে বিশেষ একটি মুহূর্তে
বিজ্ঞাপন
জুমার দিনে বিশেষ একটি সময় আছে এ সময় যদি কোনো মুসলমান আল্লাহর কাছে কিছু চায়, আল্লাহ তা অবশ্যই দান করেন। (বুখারি)
৬. কারো অনুপস্থিতিতে তার জন্য দোয়া করলে
আবু দারদা রা. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলতেন, মুসলিম ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইয়ের জন্য তার অনুপস্থিতিতে দোয়া করলে তা কবুল করা হয়। দোয়াকারীর মাথার কাছে একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত ফিরিশতা থাকে। যখনই তার ভাইয়ের জন্য কল্যাণের দোয়া করে, দায়িত্বপ্রাপ্ত ফিরিশতা তার দোয়া শুনে আমীন বলতে থাকে এবং বলে তুমি যে কল্যাণের জন্য দোয়া করলে আল্লাহ অনুরূপ কল্যাণ তোমাকেও দান করুন। (মুসলিম)
বিজ্ঞাপন
৭. ফরজ নামাজ শেষে
এক সাহাবি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞেস করলেন, কোন দোয়া সবচেয়ে বেশি কবুল করা হয়? তিনি বললেন, শেষ রাতে এবং ফরজ সালাতের শেষে। (তিরমিজি)
আরও পড়ুন: মসজিদুল আল-আকসার কিছু অংশ ধসে পড়ার শঙ্কা
বিজ্ঞাপন
৮. লাইলাতুল কদরে
আল্লাহ বলেন, লাইলাতুল কদর (নির্ধারণের রাত) এক হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। (সূরা আল-কদর, আয়াত : ৩)
রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোয় এই মহিমান্বিত রাতটি আসে। আয়েশা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজানের শেষ দশ রাত অন্য সময়ের তুলনায় অনেক বেশি ইবাদত করতেন। (মুসলিম)
বিজ্ঞাপন
৯. মুসাফির ও পীড়িতের দোয়া
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, তিনটি দোয়া নিঃসন্দেহে কবুল হয়— অত্যাচারিতের দোয়া, সফররত ব্যক্তির দোয়া এবং পিতার দোয়া (সন্তানের বিরুদ্ধে)। (তিরমিজি)
১০. বৃষ্টির সময়
বিজ্ঞাপন
হজরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) যখনই বৃষ্টি দেখতেন, তিনি দোয়া করতেন, ‘হে আল্লাহ! একে বরকতময় ও ফলপ্রসূ বৃষ্টি হিসেবে দান করুন। (বুখারি)








