পাকিস্তানের সুপ্রসিদ্ধ সুফি পীর জুলফিকার নকশবন্দীর ইন্তেকাল

পাকিস্তানের সুপ্রসিদ্ধ সুফি সাধক ও ইসলামি চিন্তাবিদ পীর জুলফিকার আহমদ নকশবন্দী ইন্তেকাল করেছেন।
বিজ্ঞাপন
রবিবার লাহোরে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তার ইন্তেকালের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পীর জুলফিকার নকশবন্দীর খলিফা শেখ মুহাম্মদ।
পীর জুলফিকার আহমদ নকশবন্দী ১৯৫৩ সালের ১ এপ্রিল পাকিস্তানের ঝং জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি নকশবন্দি তরিকার একজন প্রভাবশালী সুফি সাধক ছিলেন। দেওবন্দি আলেমদের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। ইসলামি আধ্যাত্মিকতা, আত্মশুদ্ধি ও নৈতিক চরিত্র গঠনে তার অবদান বিশ্বব্যাপী সমাদৃত।
বিজ্ঞাপন
পীর জুলফিকার নকশবন্দী সৌদি আরব, মিসর, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ভারতসহ বিশ্বের প্রায় ৭০টি দেশে দাওয়াতি সফর করেছেন। দারুল উলুম দেওবন্দসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তিনি বক্তব্য প্রদান করেন। তার বয়ান ও নসিহত ইউটিউবসহ বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে।
তিনি একজন প্রথিতযশা লেখকও ছিলেন। ফিকহ, আত্মশুদ্ধি, পারিবারিক জীবন, নৈতিকতা এবং নারীদের ইসলামি ভূমিকা বিষয়ে রচিত তার গ্রন্থসমূহ মুসলিম সমাজে ব্যাপকভাবে পাঠিত ও সমাদৃত।
বিজ্ঞাপন
বিশ্বজুড়ে পীর জুলফিকার নকশবন্দীর শতাধিক খলিফা রয়েছেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন— পাকিস্তানের প্রভাবশালী আলেম ও রাজনীতিবিদ মাওলানা ফজলুর রহমান, ভারতের মাওলানা খলিলুর রহমান সাজ্জাদ নুমানী,
জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের প্রধান মাওলানা মাহমুদ মাদানী, দারুল উলুম দেওবন্দের সিনিয়র মুহাদ্দিস মাওলানা মুহাম্মাদ সালমান বিজনূরী।
পীর জুলফিকার নকশবন্দীর ইন্তেকালে বিশ্বজুড়ে ইসলামি অঙ্গনে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বিভিন্ন আলেম, মাশায়েখ ও ইসলামি ব্যক্তিত্ব তার রুহের মাগফিরাত কামনা করেছেন।








