জনপ্রিয়তার শীর্ষে সান্টু

রাজনীতির অস্থির সময়ে, যখন ত্যাগ ও নিষ্ঠা বিরল, তখন এক নেতার চারপাশে ঐক্য গড়ে তুলেছেন নেতাকর্মীরা। তিনি সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু বরিশাল-২ (উজিরপুর ও বানারীপাড়া) আসনের বিএনপি নেতাকর্মীদের আস্থার নাম।
বিজ্ঞাপন
তৃণমূল থেকে জেলা পর্যায় পর্যন্ত সব পর্যায়ের নেতারা বলছেন, “সান্টুর মতো ক্লিন ইমেজ ও পরীক্ষিত নেতৃত্ব এই মুহূর্তে অন্য কারো মধ্যে নেই।” যিনি সংকটের সময়ও নেতাকর্মীদের পাশে থেকে প্রমাণ করেছেন দায়িত্বশীলতা ও নেতৃত্বদানের ক্ষমতা। সাংগঠনিক দক্ষতা, জনপ্রিয়তা এবং দীর্ঘদিনের ত্যাগের কারণে বরিশাল-২ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে আলোচনায় রয়েছেন সান্টু। স্থানীয় নেতাকর্মীদের মতে, এই আসনে সান্টুর ব্যাপক ভোট ব্যাংক রয়েছে, যা দলে ও বাইরে উভয় ক্ষেত্রেই তাকে এগিয়ে রাখে।
সূত্র বলছে, ২০০৭ সালের ওয়ান-ইলেভেনের সময় বিএনপি যখন সংস্কারপন্থীদের দোলাচলে, তখনই সরফুদ্দিন সান্টু দলনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পাশে দাঁড়িয়ে ফুল দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগ দেন। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-২ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং অল্প ভোটের ব্যবধানে হেরে যান, যেখানে দেশের অন্যান্য অনেক হেভিওয়েট প্রার্থী বিশাল ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিলেন। এরপরও থেমে থাকেননি সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মাঠে ছিলেন।
প্রচারণা চলাকালীন হামলা, মামলার শিকার হলেও তিনি দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্বাচনী লড়াই চালিয়ে যান। পরাজয় সত্ত্বেও সংগঠনের হাল না ছেড়ে উল্টো আরও শক্তিশালী ও সংগঠিত করেছেন বরিশাল-২ আসনের বিএনপিকে। নির্বাচনের সময় একাধিক মামলায় আসামি হয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হলেও প্রবাসে থেকেও নিজের নির্বাচনী এলাকার নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন সব সময়। সংগঠনের দায়িত্ব পালন করেন অভিভাবকের মতো।
বিজ্ঞাপন
গুঠিয়া ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সরদার মাইনুল বলেন, সরফুদ্দিন সান্টুর নেতৃত্বে আমরা ঐক্যবদ্ধ। তিনিই আমাদের কান্ডারী।
উজিরপুর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও গুঠিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. সাহিন হাওলাদার বলেন, সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টুর প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা কেবল দলীয় পরিচয়ের কারণে নয়, তিনি এক সময় দানবীর ও শিক্ষা-অনুরাগী নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। নির্বাচনী এলাকায় অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সামাজিক সংগঠন এবং মানবিক কাজে সরাসরি যুক্ত ছিলেন তিনি। স্থানীয়ভাবে তার একটি ‘ভোট ব্যাংক’ বিদ্যমান, যা বিএনপির ভোটের সঙ্গে মিলিত হলে জয় নিশ্চিত।
বানারীপাড়ায় উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মো: সবুর খান বলেন, “তিনি শুধু নেতা নন, সাধারণ মানুষের আপনজন। উন্নয়ন আর মানবসেবায় তাঁর ভূমিকা অতুলনীয়।” তিনি আছে বলে বানারীপাড়া বিএনপি শক্তিশালী।
বিজ্ঞাপন
উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সাধারন সম্পাদক গোলাম মাহমুদ মাহাবুব মাস্টার বলেন, আমাদের দলের অভিবাবক সরফুদ্দিন আহমেদ সান্টু দীর্ঘদিন ধরে এ আসনটিতে সংগঠনকে চাঙ্গা করেছেন তার কোন বিকল্প নেই।
উজিরপুর পৌর বিএনপি সভাপতি শহিদুল ইসলাম খান বলেন, “দলের জন্য, মানুষের জন্য সান্টুর চেয়ে যোগ্য প্রার্থী এই আসনে আর কেউ নেই।” তিনি আমাদের ভরসা।