ফিফার ৩০ কোটি টাকার ফান্ড ফেরত যাবে না: ক্রীড়া উপদেষ্টা

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) জন্য ফিফার উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৩০ কোটি টাকার ফান্ড বরাদ্দ রয়েছে। এ অর্থ দিয়ে টেকনিক্যাল সেন্টার নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে বাফুফে। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্মাণকাজ শুরু না হলে ফান্ড ফেরত যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিলেও ফান্ড ফেরত যাবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) ফিফা ফরোয়ার্ড প্রজেক্টের আওতায় নির্মিত কমলাপুর স্টেডিয়াম ও বাফুফে ভবনের পাশের কৃত্রিম ঘাসের মাঠের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, “টেকনিক্যাল সেন্টার নির্মাণ প্রকল্পটি বর্তমানে ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আশা করছি, ফিফার ফান্ড ফেরত যাওয়ার প্রশ্নই উঠবে না। আমরা বাফুফে ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে দ্রুতই এটি নিশ্চিত করব।”
বিজ্ঞাপন
প্রসঙ্গত, বাফুফে তিন বছর আগে ‘সেন্টার ফর এক্সিলেন্স’ প্রকল্প হাতে নেয়। প্রথমে কক্সবাজারের রামু উপজেলার খুনিয়াপালং এলাকায় জমি নির্ধারিত হলেও পরবর্তীতে রশিদনগর ইউনিয়নের ধলিরছড়া এলাকায় নতুন জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এখন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলেই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।
এই টেকনিক্যাল সেন্টারে থাকবে একটি ঘাসের মাঠ, একটি কৃত্রিম টার্ফ, আধুনিক জিমনেসিয়াম, সুইমিংপুল এবং ফুটবলারদের জন্য একাডেমিক ভবন। দীর্ঘ ৫৩ বছর পর বাফুফে নিজেদের স্থায়ী মাঠ পেতে যাচ্ছে। যা দেশের ফুটবলে নতুন দিগন্ত খুলে দেবে বলে আশা করছেন ক্রীড়াপ্রেমীরা।
বিজ্ঞাপন
২০২২ সালের জুলাইয়ে কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগ ২০ একর জমি বাফুফের অনুকূলে হস্তান্তর করেছিল। পরে পরিবেশগত প্রতিবেদন (ইএসআই রিপোর্ট) ফিফার কাছে পাঠানোর পর বিকল্প স্থানে নির্মাণের প্রস্তাব দেয় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। বর্তমানে নতুন স্থানে প্রায় ১৫ একর জমিতে টেকনিক্যাল সেন্টার গড়ে তোলার প্রস্তুতি চলছে।