জ্যোতির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে মুখ খুললেন তার ভাই

বাংলাদেশ নারী ক্রিকেটে চলছে একের পর এক বিতর্ক। মাঠের বাইরের ঘটনায় টালমাটাল দেশের ক্রিকেটাঙ্গন। জাতীয় নারী দলের সাবেক নির্বাচক ও টিম ম্যানেজার মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু এবং প্রয়াত সাবেক ইনচার্জ তৌহিদ মাহমুদের বিরুদ্ধে সম্প্রতি যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন জাতীয় দলের সিনিয়র ক্রিকেটার জাহানারা আলম।
বিজ্ঞাপন
এছাড়া অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির বিরুদ্ধেও সিনিয়রদের অসম্মান করা ও জুনিয়রদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ এনেছেন তিনি। জাহানারার বক্তব্যের পর সাবেক অধিনায়ক রুমানা আহমেদও জানান, ‘জাহানারা যা বলেছেন, তা পুরোপুরি সত্য।’
তবে অভিযোগের শুরুতেই বিষয়টি অস্বীকার করেন জ্যোতি। বিসিবিও তাদের বিবৃতিতে অভিযোগগুলোকে ‘বানোয়াট’ বলে দাবি করে। পরে মঞ্জুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগের তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে ক্রিকেট বোর্ড।
আরও পড়ুন: ফের অধিনায়কের দায়িত্ব পেলেন সাকিব!
বিজ্ঞাপন
এদিকে জ্যোতির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ও সমালোচনা ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে নানা আলোচনা। এই পরিস্থিতিতে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন জ্যোতির ভাই সম্রাট সালাউদ্দিন।
তিনি লিখেছেন, ‘নারী ক্রিকেট দল নিয়ে সাম্প্রতিক বিতর্ক অত্যন্ত দুঃখজনক। জাহানারা আলম যে অভিযোগ তুলেছেন তা গুরুতর। যদি এ অভিযোগের সামান্যতম সত্যতাও থাকে, তবে দোষীদের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত। আমি নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানাই, যেন নারীরা ক্রীড়াঙ্গনে নিরাপদভাবে এগিয়ে যেতে পারেন।’
জ্যোতির বিরুদ্ধে গ্রুপিংয়ের অভিযোগকে ‘অপপ্রচার’ বলে উল্লেখ করে তিনি আরও লেখেন, ‘দলের সিন্ডিকেট বা গ্রুপিং নিয়ে জ্যোতিকে ঘিরে যে গুজব ছড়ানো হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এসব কথা বলা হচ্ছে ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে। সাবেক কোচ হাসান তিলকারত্নের বিদায়ী সাক্ষাৎকারেই পরিষ্কার করেছেন, কারা এসবের মূল হোতা ছিলেন।’
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও লেখেন, ‘জাহানারা ও রুমানা—আপনারা নারী ক্রিকেটকে আজকের অবস্থানে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। কিন্তু দল থেকে বাদ পড়ার ক্ষোভে জ্যোতির ওপর দায় চাপানো ঠিক নয়। খেলার মাঠে বকা-ঝকা, কাজ ভাগ করে দেওয়া—এসব বিষয় টিম স্পিরিটেরই অংশ, সিন্ডিকেট নয়।’
শেষে সম্রাট লেখেন, ‘জ্যোতির নেতৃত্বেই বাংলাদেশ নারী দল আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সাফল্য পেয়েছে। জাহানারার জন্যও শুভকামনা রইল—তার অভিযোগের সুষ্ঠু বিচার হোক, আর তিনি যেখানেই থাকুন, ভালো থাকুন।’








