বাংলাদেশের উজ্জ্বল শুরু, এরপর ক্যাচ মিসের মহড়া

টস হেরে বোলিংয়ে নেমে ইনিংসের চতুর্থ বলেই আয়ারল্যান্ড অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবির্নিকে আউট করে দারুণ সূচনা করে বাংলাদেশ। নাহিদ রানার ইনসুইং ডেলিভারিতে বোল্ড হন বালবির্নি। তবে রিভিউ নেওয়ার পর দেখা যায়, আল্ট্রা এজে স্পাইক দেখা গেলেও বল ও ব্যাটের মাঝে ফাঁক ছিল। ইম্প্যাক্টে আম্পায়ার্স কল হওয়ায় শেষ পর্যন্ত আউটই থাকেন আইরিশ অধিনায়ক।
বিজ্ঞাপন
এরপরই শুরু হয় বাংলাদেশের ফিল্ডারদের হাত ফসকানোর প্রতিযোগিতা। ৪র্থ ওভারে সাদমান ইসলামের হাত ফসকে স্টার্লিংয়ের ক্যাচ মিস। ৫ম ওভারে স্কয়ার লেগে তাইজুল ইসলাম ধরতে পারেননি কারমাইকেলের পুল শট; চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। ৬ষ্ঠ ওভারে গালিতে মিরাজের ডাইভ দিয়েও স্টার্লিংয়ের আরেকটি ক্যাচ হাতছাড়া; তিনিও মাঠ ছাড়েন চোট পেয়ে।
পঞ্চম ও সপ্তম ওভারে ৮ ও ১০ রানে জীবন পান স্টার্লিং। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ২১তম ওভারে কারমাইকেলের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে রেকর্ড জুটি গড়েন তিনি। আয়ারল্যান্ডের হয়ে এই উইকেটে আগের সর্বোচ্চ জুটি ছিল ৭৫ রান, সেটিও ভাঙলেন তারা।
বিজ্ঞাপন
হাসান মাহমুদের ওভারে বাউন্ডারি মেরে মাত্র ৬১ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন স্টার্লিং। এটি তার দ্বিতীয় টেস্ট অর্ধশতক। এর আগে ২০২৩ সালের এপ্রিলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গলে ১০৩ রানের সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি।
২৬ ওভার শেষে আয়ারল্যান্ডের সংগ্রহ ৯৪ রান ১ উইকেটে।
স্টার্লিং: ৫৮* কারমাইকেল: ৩০* দুজন মিলে দ্বিতীয় উইকেটে যোগ করেছেন ৯৪ রান। প্রথম সেশন শেষে লাঞ্চে যায় দলটি।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: ফ্লাইট মিস, ঢাকায় ফিরতে দেরি হামজার
এদিন বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে ১০৮তম ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক হয়েছে তরুণ অফস্পিনার হাসান মুরাদের। তাকে ক্যাপ পরিয়ে দিয়েছেন অভিজ্ঞ স্পিনার তাইজুল ইসলাম।
আয়ারল্যান্ড: ৯৪/১ (২৬ ওভার)
বিজ্ঞাপন
স্টার্লিং ৫৮, কারমাইকেল ৩০; নাহিদ রানা ১/২৫**
বাংলাদেশের তিনটি ক্যাচ মিস
তাইজুল ও মিরাজ আহত হয়ে মাঠের বাইরে।








