বিকেএসপির স্কলারশিপ পাচ্ছে খুদে ফুটবলার সোহান

ফুটবলের মাঠে বয়স নয়, প্রতিভাই বড় কথা—এ কথার জীবন্ত উদাহরণ চাঁদপুরের মতলব উত্তরের খুদে ফুটবলার সোহান প্রধানিয়া। মাত্র ৬ বছর বয়সেই তার ড্রিবলিং, বল কন্ট্রোল আর নিখুঁত পায়ের কারুকাজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে ঝড়ের গতিতে।
বিজ্ঞাপন
মুগ্ধ হয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ারও। অবশেষে পূর্ণ স্কলারশিপ নিয়ে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) ডাক পেতে যাচ্ছেন চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার খুদে এই ফুটবলার।
সোমবার (১০ নভেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানান ক্রীড়া উপদেষ্টা। ওই পোস্টে আসিফ মাহমুদ উল্লেখ করেন, সোহানকে বিকেএসপিতে রেখে ভবিষ্যৎ ফুটবলার হিসেবে গড়ে তোলা হবে।
বিজ্ঞাপন
এ খবরে সোহানের পরিবার ও স্বজনদের মধ্যে আনন্দের বন্যা বইছে। চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার সাড়ে পাঁচআনী গ্রামের বাসিন্দা সোহেল প্রধানিয়া ও গৃহিণী রুবিনা আক্তারের বড় ছেলে সোহান বর্তমানে পাঁচআনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, মাত্র তিন বছর বয়স থেকে গ্রামের রাস্তায় বাবার সঙ্গে ফুটবলের অনুশীলন শুরু করে সোহান। অল্প সময়ের মধ্যেই বেশ কিছু কলাকৌশল রপ্ত করে। ফুটবলে তার প্রতিভার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে ফুটবলপ্রেমীরা শিশুটিকে দেখতে ছুটে যান। কেউ কেউ সোহানকে ফুটবল, জার্সি, জুতা উপহার দেন। সম্প্রতি জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হকও সোহানের সঙ্গে দেখা করেন। তার হাতে তুলে দেন ফুটবলের নানা সামগ্রী। সেই সঙ্গে শিশুটির লেখাপড়াসহ খেলাধুলা চালিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব নেন।
সোহান বিকেএসপিতে পড়াশোনার সুযোগ পাওয়ার খবরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন বাবা সোহেল প্রাধানিয়া।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কথা হয় সোহানের বাবার সাথে তিনি বলেন, আমি আমার ছেলেকে বাংলাদেশের জন্য উৎসর্গ করলাম। আমি সোহানকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখি, আল্লাহ যেন সেই স্বপ্ন পূরণ করেন। টিভিতে খেলা দেখে ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন দেখে সোহান নিজেও। সে বলে, আমি বড় হয়ে মেসির মতো খেলতে চাই।
মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা কুলসুমা মনি বলেন, খুদে ফুটবলার সোহানের প্রতিভা দেখে আমি নিজেও তার সঙ্গে দেখা করেছিলাম। তাকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করা হয়েছে। যতদিন পর্যন্ত সে বিকেএসপিতে খেলার উপযোগী হতে সময় লাগবে তত পর্যন্ত তাকে এখানকার একজন ভালো কোচের মাধ্যেমে খেলার সুযোগ করে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমরাও চাই সোহান লেখাপড়ার পাশাপাশি একজন ভালোমানের ফুটবলার হবে। বিকেএসপিতে সোহানের ভর্তির ব্যাপারে এখনো কোনো নির্দেশনা পাননি তিনি। তবে ক্রীড়া উপদেষ্টা স্যারের অফিস থেকে কেউ একজন আমার কাছ থেকে তার পরিবারের মোবাইল নাম্বার চেয়েছেন। আমরা তাকে নাম্বারটি দিয়েছি।
বিজ্ঞাপন
জেলা ক্রীড়া অফিসার মো. আফাজ উদ্দিন বলেন,শিশুটির খেলার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ওই ভিডিওটি ক্রীড়া উপদেষ্টার নজরে আসে। তারই প্রেক্ষিতে ক্রীড়া উপদেষ্টার পিএস আমাদেরকে ফোন করেন। তার পরিবারের মোবাইল নাম্বারটি সংগ্রহ করে দেওয়ার জন্য বলেন এবং তার খোঁজখবর নেন।








