সাফ চ্যাম্পিয়ন দলকে প্লট দিয়েছিলেন খালেদা জিয়া

বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ক্রীড়াঙ্গনের জন্য ছিলেন একজন অনন্য সমর্থক।
বিজ্ঞাপন
দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) ভোরে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তার প্রয়াণে দেশের ক্রীড়াঙ্গন শোকাহত।
জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক ছাইদ হাসান কানন গণমাধ্যমকে তার স্মৃতি শেয়ার করেন।
কানন বলেন, আমি যখন ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের ক্রীড়া সম্পাদক প্রার্থী ছিলাম, ম্যাডাম প্রায়ই আমার কাছ থেকে নির্বাচনের খোঁজ-খবর নিতেন। একবার ক্যাম্পাসে ছবি তোলার সময় পেছন থেকে ডেকে বললেন, ‘তোমার ছবিগুলো সুন্দর হয়েছে।’
বিজ্ঞাপন
দলীয় ও রাষ্ট্রীয় ব্যস্ততার মধ্যেও খেলাধূলার প্রতি খালেদা জিয়ার মনোযোগ ছিল দৃঢ়। কানন আরও বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলাধুলাকে গুরুত্ব দেয়ার জন্য আমি শারীরিক শিক্ষা বিভাগে যোগ দিয়েছিলাম। ম্যাডাম তৎকালীন ভিসি এমাজউদ্দিন স্যারের সঙ্গে আমার কথোপকথন মনে রেখেছিলেন। রাজনৈতিক ও নানা কর্মকাণ্ডের মধ্যে দেখলেই বলতেন, ‘মোহামেডানের কানন’।
সাফ চ্যাম্পিয়ন দলের প্লট উপহার: বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনের সাফল্যের প্রতি খালেদা জিয়ার সম্মান প্রকাশের একটি উদাহরণ ছিল ২০০৩ সালে সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়া জাতীয় ফুটবল দল। তখন দলের সবাইকে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ৫ কাঠা করে প্লট দেওয়া হয়েছিল। দলের অধিনায়ক হাসান আল মামুন বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ৪ লাখ টাকা করে উপহার পেয়েছিলাম, বাকি চার লাখ টাকা কিস্তিতে। ফলে কোনো জটিলতা হয়নি। এরকম সম্মান আর কোনো সময় পাইনি।”
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশের ফুটবলের দুটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সময়ই খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী ছিলেন:
১৯৯৫: চার জাতির শিরোপা (বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক ট্রফি), ২০০৩: সাফ চ্যাম্পিয়ন দল, মিয়ানমার থেকে দেশে ফেরার দিন রাতেই প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে ফুটবলারদের ডেকেছিলেন তিনি।
অ্যাথলেটিক্সে সমর্থক: জাতীয় তারকা অ্যাথলেট ও কোচ শামীমা সাত্তার মিমো, যিনি খালেদা জিয়ার খালাতো বোন, বলেন, অ্যাথলেটিক্সে প্রতিনিয়ত স্বর্ণ জেতায় আপা গর্ব অনুভব করতেন। খেলাধূলার উন্নয়নে সবসময় সচেষ্ট ছিলেন এবং খোঁজ রাখতেন। দিনাজপুরের বিকেএসপিও তিনি উদ্বোধন করেছিলেন।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে মাশরাফির শোক
মিমোও বলেছেন, খালেদা জিয়ার আত্মীয়ত্ব থাকা সত্ত্বেও ক্রীড়াঙ্গনে কোনো প্রভাব খাটাতে দেখেননি। জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রাপ্ত হওয়ার সময় বিএনপি ক্ষমতায় ছিল না।
খালেদা জিয়ার প্রয়াণ ক্রীড়াঙ্গনের জন্য শুধু শোক নয়, বরং এক সময়ের গুরুত্বপূর্ন সমর্থক ও প্রেরণার স্মৃতিও রয়ে গেল।








