খালেদা জিয়ার সঙ্গে স্মৃতিচারণ করলেন বিসিবি সভাপতি

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে দেশজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। ক্রীড়াঙ্গনও এই শোক থেকে ব্যতিক্রম নয়। তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) মঙ্গলবারের সব ম্যাচ স্থগিত করে।
বিজ্ঞাপন
এই শোকের দিনে বিকেলে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে উপস্থিত হয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে নিজের স্মৃতি রোমন্থন করেন বিসিবি সভাপতি ও বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
১৯৯৭ সালের আইসিসি ট্রফি জয়ের পরের একটি স্মরণীয় ঘটনার কথা তুলে ধরে বুলবুল বলেন, আমরা যখন আইসিসি ট্রফি জিতেছিলাম, তখন কয়েকটি সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল। তার একটি ছিল তৎকালীন বিএনপির উদ্যোগে মিন্টু রোডে। আমি তখন দলের সহ-অধিনায়ক।
বিজ্ঞাপন
বক্তৃতার সময় ভুল করে আমি ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’ বলে ফেলেছিলাম, যদিও তিনি তখন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। পুরো মঞ্চ এক মুহূর্তের জন্য নীরব হয়ে গিয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে আমি নিজের ভুল সংশোধন করি। আইসিসি ট্রফি ঘিরে যত অনুষ্ঠান হয়েছিল, সেটাই ছিল আমার শেষ আনুষ্ঠানিক উপস্থিতি।”
খালেদা জিয়ার কাছ থেকে পাওয়া রাষ্ট্রীয় সম্মানকে জীবনের অন্যতম বড় অর্জন হিসেবে উল্লেখ করে বিসিবি সভাপতি বলেন, ক্রিকেটে সাফ বা সার্কের বিভিন্ন ইভেন্টে আমরা ভালো খেললে তিনি আমাদের অফিসে আমন্ত্রণ জানাতেন। জীবনের সবচেয়ে বড় পুরস্কার—রাষ্ট্রীয় পুরস্কার—তিনি নিজ হাতে আমার গলায় পরিয়ে দিয়েছিলেন। তার বিদায়ে আমরা সবাই গভীরভাবে শোকাহত। আল্লাহ যেন তার আত্মাকে শান্তি দেন এবং তাকে জান্নাত নসিব করেন।
ব্যক্তিগতভাবে খালেদা জিয়ার সঙ্গে হওয়া কথোপকথনের কথাও স্মরণ করেন বুলবুল। তিনি বলেন, ব্যক্তিগতভাবে দু’বার তার সঙ্গে কথা হয়েছে। একবার যখন মেডেল পেয়েছিলাম, তিনি আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। আরেকবার আইসিসি ট্রফির সংবর্ধনার পর আমাদের ডিনারে নেওয়া হয়, সেখানে খেলাধুলা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল।
বিজ্ঞাপন
দেশের ক্রীড়াঙ্গনের বিকাশে খালেদা জিয়ার অবদান প্রসঙ্গে বিসিবি সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট আজ যে জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে, তার পেছনে সব সরকারেরই সমর্থন ছিল। তবে তার প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সময়টা আলাদাভাবে মনে পড়ে। ২০০৪ সালে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল। সেই সময় বেশ কিছু ভেন্যু তৈরি হয়, যার মধ্যে মিরপুরের শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম অন্যতম। আমি তখন খেলোয়াড় ছিলাম। খেলোয়াড় হিসেবে যতটুকু সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কথা, তার অনেকটাই সেই সময় পেয়েছি।
বিসিবি সভাপতির স্মৃতিচারণে উঠে আসে ক্রীড়াঙ্গনের প্রতি খালেদা জিয়ার ইতিবাচক মনোভাব এবং বাংলাদেশ ক্রিকেটের শুরুর পথচলায় তার সময়কার অবকাঠামোগত সহায়তার কথা।








