ভিজিডির চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম

উদ্যোক্তা নিলুফার ইয়াসমিনকে প্রত্যেক নামের বিপরীতে ১০০ টাকা করে আদায় করতে দেখা যায়
বিজ্ঞাপন
পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নে দুস্থ ও অসহায় মানুষের নামে বরাদ্দ হওয়া ভিজিডির চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
রবিবার (১৮ জুন) সকাল ১০ টায় মুরাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কম্পাউন্ডে চাল বিতরণকালে ইউপি সদস্য হাফিজুর রহমান ফোরকান ও ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা নিলুফার ইয়াসমিনকে প্রত্যেক নামের বিপরীতে ১০০ টাকা করে আদায় করতে দেখা যায়।
বিজ্ঞাপন
এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ফুটেছে প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে। টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে ইউনিয়ন পরিষদ ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা নিলুফার ইয়াসমিন বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান শিকদারের নির্দেশেই প্রত্যেকের কাছ থেকে একশ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
তিনি আরও বলেন, প্রত্যেকবারই এভাবে টাকা নিয়ে থাকি।
এদিকে বিতরণকৃত চাল পরিমাপে কম দেওয়ারও প্রমাণ পাওয়া গেছে। বিতরণ করা চাল তাৎক্ষণিকভাবে মেপে দেখা যায় ৩০ কেজির স্থলে গড়ে ২৭ কেজি করে দেয়া হয়েছে। কোন কোনটিতে এর চেয়েও কম দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
আরও পড়ুন: দুমকিতে আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ মিছিল
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে মুরাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান শিকদার টাকা আদায়ের বিষয়টি অস্বীকার করলেও চাল কম দেওয়ার ঘটনা স্বীকার করে বলেন, বস্তার ওজনের কারণে প্রত্যেককে এক কেজি করে চাল কম দিতে বলেছি।
অনিয়মের বিষয়ে ট্যাগ অফিসার পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ব্যবস্থাপক আল আমিন হোসেন বলেন, অফিসিয়াল কাজে ঢাকায় থাকার কারণে বিষয়টি তার জানা নেই।
বিজ্ঞাপন
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল ইমরান বলেন, ভিজিডির চাল বিতরণে ওজনে কম দেওয়া এবং টাকা আদায়ের কোন সুযোগ নেই। এ ধরনের প্রমাণ পাওয়া গেলে আইন অনুযয়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিজ্ঞাপন
জেবি/ আরএইচ/








