বিএলআরআইএ প্রথম বারের মত গবেষণার মাধ্যমে উঠ পাখি পালন শুরু করা হয়েছে

সাভারে প্রথম বারের মত গবেষণার মাধ্যমে উন্নত জাতের উঠ পাখি পালন শুরু করেছে
বিজ্ঞাপন
সাভারে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআইএ) প্রথম বারের মত গবেষণার মাধ্যমে উন্নত জাতের উঠ পাখি পালন শুরু করেছে। গবেষণার মাধ্যমে উঠপাখি গুলো লালন পালন শেষে দেশের বিভিন্ন প্রান্তিক খামারীদের মাঝে বিতরণ করা হবে হবে। উটপাখির মাংস বিশ্বব্যাপী বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে কারণ এটি স্বাস্থ্যসম্মত এবং স্বাদে গরুর মাংসের মতো হলেও এতে চর্বির পরিমাণ কম। উটপাখির মাংস লাল মাংস হিসেবে পরিচিত এবং এতে প্রোটিন ও আয়রনের পরিমাণ বেশি থাকে। স্বাস্থ্য সচেতন মানুষদের জন্য এটি গরুর মাংসের একটি বিকল্প হতে পারে কারণ এতে কম ক্যালোরি, কম কোলেস্টেরল এবং কম স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে।
বিজ্ঞাপন
দেশে মাংসের চাহিদা মেটানোর জন্য বছর খানেক আগে সাউথ আফ্রিকা থেকে কিছু উটপাখি নিয়ে আসা হয় বিএলআরআইএ। এখানেই উটপাখি গুলো লালন পালন করা হচ্ছে। তিন বছর গবেষণা শেষে উটপাখি গুলো দেশের বিভিন্ন খামারিদের মাঝে দেওয়া হবে।
বিজ্ঞাপন
এছাড়া উট পাখির ডিম থেকে আরও উটপাখি প্রজনন করা হবে। পৃথিবীর সর্ববৃহৎ পাখির নাম উটপাখি এটি কিন্তু উড়তে পারেনা এদেরকে মরুভূমির সৌন্দর্য বলা হয়। উটপাখি ৭ থেকে ৮ ফুট পর্যন্ত উঁচু হতে পারে এবং ১৫০ থেকে ১৮০ কেজি পর্যন্ত হতে পারে উটপাখির ডিম হলো পৃথিবীর সর্ববৃহৎ ওজন। ডিমের ওজন প্রায় দেড় কেজি হয়ে থাকে । সাধারণত তৃণভোজী অর্থাৎ শুধুমাত্র ঘাস লতাপাতা খেয়ে বেঁচে থাকে উটপাখি।
উট পাখির প্রকল্প পরিচালক ড. সাজেদুল করিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন। একেকটি উটপাখি বছরে এক’শটি ডিম দেয়। উটপাখি পালনে তেমন খরচ নেই তাই একটি লাভজনক ব্যবসা হতে পারে বাংলাদেশে। গবেষণা শেষেই বিএলআরআই থেকে উট পাখির মাংস বিদেশে রপ্তানি করা হবে। উট পাখির মাংস খুবই সুস্বাদু ও ক্ষতিকর কোন পার্শপ্রতিক্রিয়া নাই। সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল পাখি এবং বাংলাদেশের আবহাওয়ার সাথে এরা সহজেই মানিয়ে নিতে পারে এবং দ্রুত বৃদ্ধি ঘটে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিএলআরআইএর মহাপরিচালক ড. হোসেন জাহাঙ্গীর হোসেন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন। বাংলাদেশে উট পাখির মাংসের খুবই চাহিদা রয়েছে। এদিকে অনেকেই সৌন্দর্য বর্ধনে এবং শখের বশে উটপাখি পালন করে থাকে। এছাড়া বিএলআরআইএ উন্নত জাতের টার্কি মুরগির গবেষণা উদ্ভাবন করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই টার্কি মুরগি গুলো দেশের বিভিন্ন খামারের খামারিদের মাঝে বিতরণ করা হবে।
এসডি/
বিজ্ঞাপন








