ফেনীতে বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসনেে রেড ক্রিসেন্টের ১০ কোটি টাকা ব্যয়

ফেনী জেলায় চব্বিশের ভয়াবহ বন্যায় রেড ক্রিসেন্টের উদ্যোগে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে পুনর্বাসন করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে শহরের একটি রেস্টুরেন্টে মূল্যায়ন সভায় এ তথ্য জানানো হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: ইসমাইল হোসেন।
তিনি বলেন, ‘ফেনীর জিওগ্রাফিকাল পজিশনে বন্যা নিয়ন্ত্রণ কঠিন। প্রতিটি নদী অনেক পলি নিয়ে আসে। এসব নদীর পানি ধারণ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। এ জন্য নদী শাসন করা প্রয়োজন। এ নিয়ে আরও কাজ করা প্রয়োজন। রেড ক্রিসেন্টের মতো সংস্থা কিছু কাজ করতে পারে। মানুষকে সচেতন করা প্রয়োজন। অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকা ফুলগাজী-পরশুরামে ঘর-বাড়ি করার ক্ষেত্রে উচু ভিটি করার সচেতন করতে হবে। ফেনীতে বন্যা আরও হবে। এ জন্য জরুরি ভিত্তিতে রেসকিউ সামগ্রী সরবরাহ করতে হবে।
ফেনী রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের ভাইস চেয়ারম্যান জিয়াউদ্দিন আহমেদ মিষ্টারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন রেড ক্রিসেন্ট সদর দপ্তরের ডিআর ডিপার্টমেন্টের পরিচালক মিজানুর রহমান, সহকারি পরিচালক শাহীনুর রহমান, আইএফআরসি সিনিয়র ম্যানেজার হাসিবুল বারি রাজীব ও লাইভলিহুড ম্যানেজার মেহেদি হাসান শিশির।
বিজ্ঞাপন
ফেনী জেলা যুব রেড ক্রিসেন্টের উপ-যুব প্রধান আবদুর হালিম জুলহাসের পরিচালনায় এছাড়া বক্তব্য রাখেন ফেনী রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের কার্যনির্বাহী সদস্য আ.ন.ম আবদুর রহীম, মুহাম্মদ ফজলুল হক, রশিদ আহমদ মজুমদার, যুব রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের দূর্যোগ ও মানবিক বিভাগীয় উপপ্রধান ফাতেমা আক্তার, স্বেচ্ছাসেবক নাজমুল ইসলাম, ছাগলনাইয়া উপজেলার কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির প্রতিনিধি আমজাদ হোসেন, ফরহাদনগর ইউনিয়নের ইসরাত জাহান, দূর্গা রানী দাস, নুরুল আলম ও পরশুরাম উপজেলার জাবেদ হোসেন।
সভায় অন্যদের মধ্যে জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর জিমরান মোহাম্মদ সায়েক, সহকারী কমিশনার অশোক বিক্রম চাকমা, রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের কার্যনির্বাহী সদস্য আরিফ আজম ও আবদুল্লাহ আল জোবায়ের ও ইউনিট লেভেল অফিসার আবদুল মান্নান প্রমুখ যুব সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বন্যা পরবর্তী সময়ে রেড ক্রিসেন্টের পুনর্বাসন কার্যক্রম নিয়েে গ্রুপ প্রেজেন্টেশন করে এনডিআরসি সদস্যরা।
বিজ্ঞাপন
রেড ক্রিসেন্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জেলার বিভিন্ন এলাকায় ২২৭ পরিবারকে ঘর, ৩১১ পরিবারকে ল্যাট্রিন ও ২৩৯ পরিবারকে জীবিকায়নসহ ৭৭৭ পরিবারকে পুর্নবাসন করা হয়েছে। ১০ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা ও সাড়ে ৬ হাজার পরিবারকে নগদ অর্থ সহায়তা দেয়া হয়। এছাড়া ৬০০০ হাজার টাকা করে ৫৫০০ পরিবার, ৫৭০ পিস ত্রিপল বিতরণ, ২৩ স্পাটে ১২ দিন ব্যাপী ফ্রি মেডিকেল, ৫ হাজার ৮শ পরিবারকে হাইজিন বিতরন, প্রাথমিক স্কুলে ১ম থেকে ৫ম শ্রেণির শিশুদের ৫৫০টি হাইজিন কিডস বিতরণ, ৩০টি নতুন টিউবওয়েল, পুরাতন টিউবওয়েল ২০জন গোড়া পাকাকরন, ৭ হাজার ৬০০টি ফলজ ও ঔষধি গাছের চারা বিতরণ, সাড়ে ৬ হাজার টাকা করে ৪৬৯ জন ও ৩শ’ পরিবারকে ১০ ধরণের শীতকালীন সবজি বীজ দেয়া হয়। সব মিলিয়ে প্রায় ১০ কোটি টাকার বেশি ব্যয় হয়েছে।








