নৌ-পুলিশের ধাওয়ায় নদীতে ঝাঁপ, তিন দিন পর মরদেহ উদ্ধার

পটুয়াখালীর বাউফলে নৌ-পুলিশের ধাওয়া খেয়ে তেঁতুলিয়া নদীতে ঝাঁপ দেওয়া রাসেল খানের মরদেহ নিখোঁজের তিন দিন পর উদ্ধার করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চরওয়াডেল এলাকার তেঁতুলিয়া নদীর বাতিঘর পয়েন্ট থেকে স্বজনরা তার মরদেহ উদ্ধার করেন।
মৃত রাসেল খান উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বড় ডালিমা গ্রামের ইউসুফ খানের ছেলে। তিনি পেশায় দর্জি ছিলেন এবং স্থানীয় বড় ডালিমা ব্রিজ এলাকায় তার নিজস্ব দর্জির দোকান ছিল। মৃত্যুর পর তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েকে রেখে গেছেন।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে সরকার ঘোষিত ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা চলাকালে রাসেল খান তিন বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে ট্রলারযোগে তেঁতুলিয়া নদীতে ইলিশ কিনতে যান। এ সময় মা ইলিশ রক্ষায় অভিযান চালানো নৌ-পুলিশের একটি স্পিডবোট তাদের ধাওয়া দেয়। পুলিশি ধাওয়ায় ট্রলার থেকে নদীতে ঝাঁপ দেন রাসেল খান। এরপর থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন।
আরও পড়ুন: ফুলবাড়ীয়া-ময়মনসিংহ সড়ক মেরামত শুরু
খবর পেয়ে নৌ-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায়, তবে তিন দিনেও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। অবশেষে মঙ্গলবার সকালে তার স্বজনরা নদীর বাতিঘর পয়েন্টে মরদেহ দেখতে পেয়ে উদ্ধার করেন।
বিজ্ঞাপন
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতারুজ্জামান সরকার বলেন, ‘লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে নৌ ফাঁড়ির পুলিশ অবস্থান করছে। স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে লাশের ময়নাতদন্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’