আমার ছেলে খারাপ না বললেন রিপনের বাবা

বিজ্ঞাপন
নেত্রকোনা সদর উপজেলার দক্ষিণ বিশিউড়া গ্রামের মোক্তার উদ্দিনের ছেলে কনটেন্ট ক্রিয়েটর রিপন মিয়া এখন দেশের কোটি মানুষের প্রিয় মুখ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তার মুখের সেই জনপ্রিয় সংলাপ হ্যালো বন্ধুরা, আই এম রিপন আজ প্রায় সবার মুখে মুখে। সহজ-সরল জীবনযাপন, আন্তরিক কথাবার্তা ও হাস্যরসাত্মক উপস্থাপনার কারণে স্বল্প সময়েই জনপ্রিয়তা পান এই তরুণ।
তবে সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন প্রতিবেদনে রিপনের বিরুদ্ধে পরিবারকে অবহেলার অভিযোগ তোলা হলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় ব্যাপক সমালোচনা। একদিকে সেই প্রতিবেদন, অন্যদিকে মায়ের কাছে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়া রিপনের ভিডিও এই দুই বিপরীত চিত্র আলোচনায় এনে দেয় ভিন্ন মাত্রা।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন রিপনের বাবা মোক্তার উদ্দিন তিনি বলেন, রিপন আমাদের ভরণপোষণ দেয় না এই কথাটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। দুইটা গরু দিসে, লাখ টাকার সম্পদ দিসে, আমি চলতে পারতেসি। ছেলের কাছে আমি যাই না, কিন্তু রাস্তাঘাটে পাইলে পাঁচশ/এক হাজার দিতেই আছে। আমার ছেলে খারাপ না।
তিনি আরও বলেন, রিপনের মা বলছে কষ্ট করে মানুষ করসে, এটা স্বাভাবিক কথা। কিন্তু টিভিতে যেভাবে ছেলেকে উপস্থাপন হইছে, তা সত্য না। মিডিয়া রং ছড়াইছে। রিপন এখনো কাঠমিস্ত্রীর কাজ করে সংসার চালায়। আমার ঘরের টিনও রিপন লাগাইছে, তার মাকেও টাকা দেয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আবাসিক ভবনে আগুন
বিজ্ঞাপন
এলাকাবাসীরাও রিপনের পক্ষে কথা বলেছেন। তাদের ভাষায়, রিপন একজন পরিশ্রমী ও বিনয়ী মানুষ। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, রিপনের ফেসবুক আইডি অন্য কেউ চালায় এখান থেকে রিপনকে সামান্য খরচ দেয় যা দিয়ে তার নিজেরই খরচ চলে না। সে নিজে এখনো কাঠমিস্ত্রীর কাজ করে জীবিকা চালায়।
রিপন মিয়ার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, দেশের নানা প্রান্ত থেকে বহু কনটেন্ট ক্রিয়েটর তার খোঁজ নিতে সেখানে এসেছেন।
তারা জানান, “আমরা সবসময় রিপন ভাইকে একজন ভালো ও পরিশ্রমী মানুষ হিসেবেই জানতাম। কিন্তু হঠাৎ করে তার বিরুদ্ধে এমন সংবাদ প্রকাশিত হবে এটা কখনোই ভাবিনি। এখন সত্য-মিথ্যা নিয়ে আমরা সত্যিই বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছি।
বিজ্ঞাপন
বিতর্কের মধ্যেও অনেকে মনে করেন, রিপন এখনো আগের মতোই সৎ ও সরল মানুষ। তাদের মতে, তিনি শুধু একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর নন বরং সহজ-সরল গ্রামীণ জীবনের প্রতিচ্ছবি।