স্কুলে জামায়াতের প্রচারণা, প্রধান শিক্ষকের অপসারণ দাবি শিক্ষার্থীদের

মাগুরা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অ্যাসেম্বলিতে শিক্ষার্থীদের দাঁড় করিয়ে রেখে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থীদের নিয়ে প্রচারণা চালানো ও দলীয় প্রতীকের নাম মুখস্থ করানোর ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। তারা বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাহিদুল ইসলামের অপসারণ দাবি জানিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে শিক্ষার্থীরা মিছিল বের করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করে। পরে তারা জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত স্মারকলিপিও পেশ করে।
জানা যায়, গত ২৭ অক্টোবর দুপুর ১২টার দিকে বিদ্যালয়ের অ্যাসেম্বলির সময় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম মাগুরা-১ ও মাগুরা-২ আসনের জামায়াতে ইসলামী প্রার্থী আবদুল মতিন এবং এমবি বাকেরকে শিক্ষার্থীদের সামনে পরিচয় করিয়ে দেন। এ সময় প্রার্থীরা শিক্ষার্থীদের নিজেদের নামের সঙ্গে দলীয় প্রতীকের নাম বারবার উচ্চারণ করে মুখস্থ করান।
বিজ্ঞাপন
ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। পরে সোমবার সকালে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে মিছিল বের করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করে।
বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়কে রাজনীতিমুক্ত রাখার আহ্বান জানিয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের অবিলম্বে অপসারণের দাবি তোলে। তারা জেলা প্রশাসক, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেয়।
এরপর প্রাক্তন শিক্ষার্থীরাও বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভে যোগ দিলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিজ্ঞাপন
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আলমগীর কবির বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভেতরে রাজনৈতিক কার্যক্রম অনুমোদিত নয়। এটি বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ব্যক্তিগত উদ্যোগে ঘটেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
অন্যদিকে মাগুরা জেলা জামায়াতে ইসলামের ভারপ্রাপ্ত আমির অধ্যাপক সাঈদ আহমাদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আমাদের প্রার্থীরা বিদ্যালয়ে শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও দোয়া কামনা করেন। তবে বক্তব্যে কিছু শব্দচয়নে ত্রুটি হয়ে থাকলে তা ভবিষ্যতে এড়িয়ে চলা হবে।
বিজ্ঞাপন
মাগুরা জেলা প্রশাসক মো. অহিদুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়টি তদন্তে জেলা শিক্ষা অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।








