বগুড়ায় নারী বিড়াল জবাই করে হত্যা, ময়নাতদন্ত হবে ঢাকায়

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় এক নারী বটি দিয়ে একটি বিড়ালকে জবাই করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। শুধু হত্যাই নয়, তিনি বিড়ালের পেট চিরে নাড়িভুঁড়ি বের করে ধানক্ষেতে ফেলে দেন, যা এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। ঘটনা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর প্রাণী প্রেমী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
বিজ্ঞাপন
ঘটনার পর বাংলাদেশ এনিম্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। এ বিষয়ে আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম মোস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জিডিতে বলা হয়েছে, সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুর ১টা থেকে ২টার মধ্যে নশরতপুর ইউনিয়নের দত্তবাড়ীয়া গুচ্ছগ্রামে বুলবুলি (২৬) নামের এক নারী একটি সাদা-কালো পুরুষ বিড়ালকে বটি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন। এরপর পেট চিরে নাড়িভুঁড়ি বের করে ধানক্ষেতে ফেলে দেন। পরে প্রতিবেশী একজন নারী মৃত বিড়ালটিকে সংগ্রহ করে বরফে সংরক্ষণ করেন।
বিজ্ঞাপন
বাংলাদেশ এনিম্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক ও বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞ আদনান আজাদ বলেন, প্রাণী হত্যা আইন, ২০১২ অনুযায়ী যেকোনো প্রাণী হত্যা একটি দণ্ডনীয় অপরাধ। যেভাবে বিড়ালটিকে হত্যা করা হয়েছে, তা স্পষ্টভাবে মানসিক বিকৃতির লক্ষণ। এ ধরনের ব্যক্তি সমাজের জন্য হুমকি হতে পারে।
সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে বুলবুলি জানান, বিড়ালটি নিয়মিত মাছ-মাংস চুরি করতো। এই ক্ষোভ থেকেই তিনি বিড়ালটিকে জবাই করেছেন এবং নাড়িভুঁড়ি পুড়িয়ে ফেলেছেন।
বিজ্ঞাপন
আদমদীঘি থানার ওসি এস এম মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হচ্ছে। আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রাণী কল্যাণ সংগঠনগুলো দাবি জানিয়েছে, ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তির বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, যেন ভবিষ্যতে কেউ এমন অমানবিক কাজ করার সাহস না পায়।








