জুড়ী উপজেলায় বিউবোর বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্র জেলার শীর্ষে

জুড়ী উপজেলা বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্র সিস্টেম লস হ্রাস, রাজস্ব আদায়, বকেয়া বিল সংগ্রহ এবং অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণে মৌলভীবাজার জেলার মধ্যে শীর্ষ স্থান অর্জন করেছে। গত ২০২৩-২৪ ও ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ধার্য লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি সাফল্য দেখিয়ে গ্রাহকসেবায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে কেন্দ্রটি।
বিজ্ঞাপন
এই সাফল্য এসেছে আবাসিক প্রকৌশলী মো. কবীর আহমেদের যোগদানের পর তার কার্যকর তদারকি, স্বচ্ছতা ও সেবামুখী উদ্যোগের ফল হিসেবে—এমন মন্তব্য গ্রাহক ও স্থানীয় সচেতন মহলের।
লক্ষ্যমাত্রা ও অর্জনের তুলনামূলক চিত্র
২০২৩ অর্থবছর: সিস্টেম লস টার্গেট: ৮.৫০% → অর্জিত: ৭.৭০%, বকেয়া বিল আদায় টার্গেট: ১০২% → অর্জিত: ১০৭.৩৬%, বকেয়া সমমান টার্গেট: ১.৫০ → অর্জিত: ০.৯৫।
বিজ্ঞাপন
২০২৪ অর্থবছর: সিস্টেম লস টার্গেট: ৮.০০% → অর্জিত: ৬.২৩%, বকেয়া আদায় টার্গেট: ১০১.৮% → অর্জিত: ১০২.৮১%, বকেয়া সমমান টার্গেট: ০.৮৩ → অর্জিত: ০.৬৮, এছাড়া জুলাই–অক্টোবর পর্যন্ত চলতি ২০২৫ অর্থবছরেও সকল সূচকে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে।
২০২৩ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত সময়ে ২৫০টির বেশি অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও বকেয়া বিল আদায়ে একাধিক মামলা দায়েরের মাধ্যমে সরকারের উল্লেখযোগ্য রাজস্ব আদায় সম্ভব হয়েছে।
জানা যায়, আবাসিক প্রকৌশলী মো. কবীর আহমেদ নিয়মিত বিল আদায় ও অনিয়ম দমনে কঠোর হওয়ায় একটি মহল তার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমেছে। এর মধ্যে সাগরনাল গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক কাপ্তানের ফুলতলা বাজারের স-মিলের বকেয়া বিল সংক্রান্ত বিরোধে বিদ্যুৎ আদালতে মামলা দায়েরের পর থেকেই তিনি প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলছেন।
বিজ্ঞাপন
বিল জটিলতা নিরসনে সিলেট এনার্জি অডিটিং বিভাগ ও প্রধান প্রকৌশলীর দপ্তর দুটি তদন্ত কমিটি করে। তদন্তে আব্দুর রাজ্জাককে বকেয়া বিল পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হলেও তিনি তা মানেননি। বর্তমানে মামলাটি বিদ্যুৎ আদালতে চলমান।
এ বিষয়ে আব্দুর রাজ্জাক কাপ্তান দাবি করেন, ‘আমার স-মিলে প্রতি সপ্তাহেই বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়া হয়। আমার বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে মামলা করা হয়েছে।”
তবে স-মিলের লাইসেন্স ও পরিবেশ ছাড়পত্র আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “ফাইলে দেখে বলতে হবে।,
বিজ্ঞাপন
প্রতিক্রিয়ায় আবাসিক প্রকৌশলী মো. কবীর আহমেদ বলেন, ‘তার সব অভিযোগ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। বকেয়া বিল পরিশোধ না করতেই আমাকে হেয় করার চেষ্টা চলছে। আমি নিয়ম মেনেই দায়িত্ব পালন করছি।’








