চীনের অনুদানে নীলফামারীতে হচ্ছে ১০০০ শয্যার আধুনিক হাসপাতাল

নীলফামারী জেলার অধিকাংশ মানুষ কৃষির ওপর নির্ভরশীল।
বিজ্ঞাপন
উত্তরা ইপিজেড কিছুটা কর্মসংস্থানের সুযোগ এনে দিলেও এবার চীন সরকারের পূর্ণ অনুদানে (গিফট প্রকল্প) জেলায় নির্মিত হচ্ছে ১০০০ শয্যার একটি আধুনিক ও আন্তর্জাতিকমানের হাসপাতাল। এটি চালু হলে উত্তরবঙ্গসহ সারাদেশের মানুষের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা বা বিদেশমুখী নির্ভরতা অনেকটাই কমে যাবে।
গত ৩০ অক্টোবর ২০২৫ স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের নোটিশে প্রকল্পটি নিশ্চিত করা হয়েছে। হাসপাতালটি নির্মাণ হবে নীলফামারী সদর উপজেলার চড়াইখোলা ইউনিয়নের আরাজি দারোয়ানি মৌজায় প্রায় ২৫ একর জমির ওপর।
হাসপাতালে থাকবে
বিজ্ঞাপন
১. অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার ও আইসিইউ
২. শিশু ও মাতৃস্বাস্থ্য ইউনিট
৩. জরুরি বিভাগ
বিজ্ঞাপন
৪. ক্যান্সার, হৃদরোগ, কিডনি রোগের বিশেষায়িত ইউনিট
৫. প্রায় ২০০টি ডায়ালাইসিস মেশিন
৬. উন্নত ডায়াগনস্টিক ল্যাবরেটরি
বিজ্ঞাপন
৭. প্রশিক্ষিত চিকিৎসক, নার্স ও অন্যান্য জনবল
বর্তমানে উন্নত ও বিশেষায়িত চিকিৎসার জন্য রাজধানী কিংবা বিদেশে যেতে হয়, যা সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল। এ হাসপাতাল চালু হলে সেই চাপ অনেকটাই কমবে।
বিজ্ঞাপন
অর্থনৈতিক প্রভাব
হাসপাতাল নির্মাণ ও পরিচালনার ফলে স্থানীয় পর্যায়ে হাজারো মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এলাকায় ফার্মেসি, আবাসিক হোটেল, ভাড়া বাড়ি, দোকানপাট বাড়বে। নতুন সড়ক, ড্রেনেজ, বিদ্যুৎ ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে। ফলে পুরো জেলার অর্থনৈতিক চিত্র বদলে যাবে।
যোগাযোগ সুবিধা
বিজ্ঞাপন
হাসপাতালটি সৈয়দপুর-নীলফামারী আঞ্চলিক মহাসড়কের কাছে অবস্থিত হবে। রংপুর, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, লালমনিরহাটসহ আশপাশের জেলা থেকে সরাসরি সড়কপথে আসা যাবে। এছাড়া সৈয়দপুর বিমানবন্দর এবং সৈয়দপুর ও নীলফামারী রেলস্টেশনের মাধ্যমে ঢাকাসহ সারাদেশের সঙ্গে সহজ যোগাযোগ রয়েছে।
বর্তমানে ডিজিটাল সার্ভে শেষ হয়েছে, মাস্টারপ্ল্যানের কাজ চলছে। নির্মাণকাজ শিগগিরই শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।








