দিনাজপুরে কনকনে শীত, তাপমাত্রা ১৪.৮ ডিগ্রি

উত্তরাঞ্চলে শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছে। সোমবার (২৪ নভেম্বর) সকাল ৬টায় দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বিজ্ঞাপন
পাশাপাশি বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ, যা ভোরের দিকে শীতের কনকনে অনুভূতি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। সকালের শুরুতেই ঘন কুয়াশা ও ঠান্ডা বাতাসে সাধারণ মানুষের চলাচল কমে যায়।
এদিকে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে পঞ্চগড়ের তেতুলিয়ায়, সকাল ৬টায় সেখানে তাপমাত্রা নেমে এসেছে ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ফলে এ অঞ্চলে শীতের দাপট আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
বিজ্ঞাপন
রংপুর ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সৈয়দপুর ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বগুড়া ১৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ঈশ্বরদী (পাবনা) ১৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রাজশাহী ১৪ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, কুড়িগ্রামের রাজারহাট ১৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, চুয়াডাঙ্গা ১৫ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
দিনাজপুর জেলা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেন জানান, উত্তর দিক থেকে শীতল বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় দিনাজপুরসহ উত্তরাঞ্চলে শীতের অনুভূতি দ্রুত বাড়ছে। ভোর ও রাতের তাপমাত্রা আগামী কয়েক দিন আরও কমতে পারে। এ সময় শিশু ও বয়স্কদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছি।
বিজ্ঞাপন
শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দিনাজপুর শহর ও গ্রামাঞ্চলে মানুষের পোশাকেও পরিবর্তন এসেছে। হাটবাজারে গরম কাপড়ের চাহিদা বাড়তে শুরু করেছে। সকাল, সন্ধ্যায় চায়ের দোকান ও ভাপা-পিঠার দোকানগুলোতে বেড়েছে মানুষের ভিড়। রিকশাচালক, দিনমজুরসহ নিম্ন আয়ের মানুষরা বলছেন, হঠাৎ তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় তাদের কাজে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা লতিফা বেগম বলেন, গত দুইদিন ধরে ভোরবেলা বাইরে বের হলেই কাঁপুনি ধরে। শিশুরা ঠান্ডা লেগে যাচ্ছে। শীত এভাবে পড়তে থাকবে ভেবে সবাই আগেভাগে শীতের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে।
এভাবে নভেম্বরের শেষ দিকে এসে দিনাজপুরসহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় কনকনে শীতের প্রকোপ বাড়তে থাকায় জনজীবনে শীতের উপস্থিতি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।








