খুলনা মেডিকেলে নবজাতক রেখে উধাও মা–বাবা

ফুটফুটে এক নবজাতক কন্যাকে ফেলে রেখে পালিয়ে গেছে তার মা–বাবা। এমন নির্মম, অবিশ্বাস্য ঘটনায় স্তব্ধ হয়ে গেছে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রসূতি ওয়ার্ড।
বিজ্ঞাপন
রবিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে প্রসব ব্যথা নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন মিম নামের এক নারী। সঙ্গে ছিলেন তার স্বামী পরিচয় দেওয়া রবিউল। সবকিছুই ছিল যেন স্বাভাবিক—দুপুর ১২টায় ভর্তি, বিকেল ৪টার দিকে স্বাভাবিক প্রসবে জন্ম নেয় চাঁদের মতো একটি কন্যাশিশু।
কিন্তু পরদিন সোমবার (২৪ নভেম্বর) সকালে ডাক্তার রাউন্ডে এসে চোখ কপালে ওঠে সবার—শিশুটি বেডে থাকলেও তার মা–বাবার কোনো খোঁজ নেই! ওয়ার্ডজুড়ে তখন শুধু স্তব্ধতা আর গুঞ্জন।
আরও পড়ুন: কাফনের কাপড় পরে সড়ক অবরোধ
বিজ্ঞাপন
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দ্রুত যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাদের দেওয়া নম্বরে। কিন্তু বারবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি কাউকে। মনে হচ্ছে, পরিকল্পিতভাবেই নবজাতককে হাসপাতালে রেখে পালিয়ে গেছে তারা। ভর্তি টিকিট পর্যন্ত নিজেদের সঙ্গে নিয়ে যাওয়ায় শনাক্ত করাটাও কঠিন হয়ে উঠেছে।
এদিকে ফুটফুটে শিশুটিকে এক নজর দেখতে ওয়ার্ডে শুরু হয়েছে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। কেউ বলছে—এভাবে কী করে নিজের রক্তমাংস ফেলে যায়? কেউ চুপচাপ দাঁড়িয়ে কাঁদছেন শিশুটার ভাগ্য ভেবে। হাসপাতাল কর্মীরা জানাচ্ছেন—পরিস্থিতি সামাল দিতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।
বিজ্ঞাপন
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নবজাতককে নিরাপদে রেখেছে এবং বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানিয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে— কে এই মিম? সত্যিই কি রবিউল তার স্বামী? কেন তারা সন্তান রেখে পালাল? সব প্রশ্ন এখন এক রহস্য, এক মানবিক শূন্যতা।
দরদভরা চোখে সবাই তাকিয়ে আছে সেই ছোট্ট কন্যাটির দিকে— যে পৃথিবীতে এসেছে মাত্র কয়েক ঘণ্টা, অথচ প্রথম আলো দেখেই হারিয়েছে সবচেয়ে আপন দুজন মানুষকে।








