খাগড়াছড়িতে ত্রিলোচনেশ্বর শিব মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন

খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার পেরাছড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের অচাই পাড়ায় শ্রীশ্রী ত্রিলোচনেশ্বর শিব মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে চণ্ডীপাঠ, শ্রীমদ্ভগবদগীতা পাঠ, ধর্মীয় আলোচনা সভা, শীতবস্ত্র বিতরণ ও মহাপ্রসাদের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ও পৌরহিত্য করেন লেখক ও গবেষক, ত্রিপুরা সনাতনী গীতা সংঘ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান উপদেষ্টা প্রভাংশু ত্রিপুরা। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত উপ-মহাব্যবস্থাপক দীনময় রোয়াজা।
আলোচনা সভায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন মন্দির নির্মাণে অর্থদাতা অদুল-অনিতা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান অদুল কান্তি চৌধুরী। তিনি অচাই পাড়ায় ত্রিলোচনেশ্বর শিব মন্দির নির্মাণের জন্য সার্বিক অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
বিজ্ঞাপন
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোনালী ব্যাংক রাঙ্গামাটির এজিএম সমর কান্তি ত্রিপুরা, পেরাছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তপন বিকাশ ত্রিপুরা, সমাজসেবক অলেন কান্তি ত্রিপুরা, সনাতনী ত্রিপুরা গীতা সংঘের সিনিয়র সহ-সভাপতি ত্রিপন জয় ত্রিপুরা ও স্থানীয় কার্বারী কীর্তি রঞ্জন ত্রিপুরা। এছাড়া বিভিন্ন মন্দির পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ ও সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রবীন্দ্র ত্রিপুরা। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি উপেন বিকাশ ত্রিপুরা।
বক্তারা বলেন, ত্রিলোচনেশ্বর শিব মন্দির প্রতিষ্ঠা স্থানীয় সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ করবে এবং এলাকার ধর্মীয় ও সামাজিক পরিবেশকে আরও সুদৃঢ় করবে।
বিজ্ঞাপন
অদুল-অনিতা ট্রাস্ট (জ্যৈষ্ঠপুরা, বোয়ালখালী, চট্টগ্রাম)–এর অর্থায়নে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে অচাই পাড়া ও আশপাশের এলাকার শতাধিক ভক্ত-অনুরাগী অংশ নেন। মহাপ্রসাদ বিতরণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, মন্দির নির্মাণের প্রাথমিক বাজেট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ লাখ টাকা, তবে নির্মাণের অগ্রগতির ওপর ভিত্তি করে ব্যয় আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।
এছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন ত্রিপুরা সনাতনী গীতা সংঘের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সনাতনী চিন্তাবিদ অদুল কান্তি চৌধুরী। তিনি বলেন, “সনাতন ধর্ম অত্যন্ত শুদ্ধ ও প্রাচীন ধর্ম। ধর্ম পালনের মাধ্যমে আচার-অনুষ্ঠান মেনে মানব ও জীবের কল্যাণে কাজ করতে হবে। আত্মত্যাগের মাধ্যমে নিজের ধর্মকে যথাযথভাবে লালন করতে হবে।








