থানায় হেফাজতে থাকা নারীর আত্মহত্যা

কুমিল্লার হোমনা থানার নারী ও শিশু সহায়তা ডেস্কে হেফাজতে থাকা এক নারী বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
বিজ্ঞাপন
নিহত নারীর নাম হামিদা ওরফে ববিতা। তিনি হোমনা উপজেলার ঘনিয়ারচর গ্রামের খলিল মিয়ার স্ত্রী।
হোমনা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞাপন
পুলিশ জানায়, বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে ববিতা তার সতীনের ১১ বছর বয়সী ছেলেকে পেটে ছুরিকাঘাত করেন এবং ছেলের নড়িভুঁড়ি বের হয়ে যায়। স্থানীয়রা শিশুটিকে প্রথমে হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান, পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে সে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ঘটনার পর স্থানীয়রা ববিতাকে আটক করে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখেন। পরে পুলিশ খবর পেয়ে বিকেল ৫টার দিকে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় শিশুর চাচা স্বপন মিয়া বাদী হয়ে রাতেই থানায় মামলা দায়ের করেন।
আটককৃত ববিতার সঙ্গে ওই সময় চার বছরের একটি শিশু ছিল। তাই তাকে নারী ও শিশু সহায়তা ডেস্কে রাখা হয়েছিল। সেখানে তার সঙ্গে আরেক নারী আসামি এবং নারী গ্রাম পুলিশ উপস্থিত ছিলেন। ববিতা ভোরে বাথরুমে যাওয়ার সময় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।
বিজ্ঞাপন
ওসি মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, থানা হেফাজতে মৃত্যুর বিষয়টি অত্যন্ত সংবেদনশীল হওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে অবহিত করা হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহের সুরতহাল, ময়নাতদন্ত এবং পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
পুলিশের এই ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত চলমান রয়েছে এবং বিষয়টির সম্পূর্ণ তথ্য দ্রুত জনগণকে জানানো হবে।








