বুড়িমারী স্থলবন্দরে ভারতীয় চালকের মৃত্যু

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় অবস্থিত বুড়িমারী স্থলবন্দরের পণ্য ও পণ্যবাহী যানবাহন রাখার মাঠে (ইয়ার্ড) এক ভারতীয় ট্রাক চালকের মৃত্যু হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে স্থলবন্দরের মাঠে পার্কিং করা একটি খালি ট্রাকের কেবিন থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পাটগ্রাম থানা-পুলিশ।
নিহত চালকের নাম সনম তামাং (৩৩)। তিনি ভারতের আলীপুর দুয়ার জেলার মাদারিহাট থানার মন্ডলপাড়া গ্রামের বাসিন্দা এবং কাঞ্ছা তামাংয়ের ছেলে। তিনি নিয়মিতভাবে ভারতের চ্যাংড়াবান্ধা স্থলবন্দর থেকে বাংলাদেশের বুড়িমারী স্থলবন্দরে পণ্য পরিবহনের কাজে যুক্ত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলের হাতে মা খুন
বিজ্ঞাপন
থানা পুলিশ ও স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ভারতের চ্যাংড়াবান্ধা স্থলবন্দর থেকে ভুটানি পাথর নিয়ে তিনি বাংলাদেশের বুড়িমারী স্থলবন্দরে প্রবেশ করেন। বুড়িমারী স্থলবন্দরে পৌঁছে নির্ধারিত স্থানে পাথর খালাস করেন। এরপর অন্যান্য ভারতীয় ট্রাক চালকদের মতোই তিনি রাতে নিজের ট্রাকটি স্থলবন্দরের মাঠে পার্ক করে কেবিনে ঘুমিয়ে পড়েন।
শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে পাশের ট্রাকের কেবিনে অবস্থান করা অন্য চালকেরা তাকে ডাকাডাকি করেন। কোনো সাড়া না পেয়ে তারা কাছে গিয়ে দেখেন, তিনি নিথর অবস্থায় পড়ে আছেন। তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। শুক্রবার তার ভারতে ফিরে যাওয়ার কথা ছিল বলে সহকর্মীরা জানান।
আরও পড়ুন: স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা, স্বামী পলাতক
বিজ্ঞাপন
খবর পেয়ে বুড়িমারী স্থলবন্দর পুলিশ ইমিগ্রেশন বিভাগের কর্মকর্তারা পাটগ্রাম থানা পুলিশকে অবহিত করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল সম্পন্ন করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক বলেন, প্রাথমিকভাবে এটি স্বাভাবিক মৃত্যু বলে মনে হচ্ছে। তবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত করতে ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ ভারতে পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঘটনার পর স্থলবন্দরের পণ্য পরিবহন কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। কর্তৃপক্ষ পুরো বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে।








