ঝালকাঠিতে ৪ কর্মীসহ ‘অ্যাডভেঞ্চার-৯’ আটক

ঘন কুয়াশার কারণে চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহী দুই লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলা ও হরিনা এলাকার মাঝামাঝি স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নৌ-পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দুর্ঘটনায় একাধিক যাত্রী হতাহত হয়েছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম ও পরিচয় জানা যায়নি।
ঝালকাঠির পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে মেঘনা নদীর হরিনা এলাকায় সংঘর্ষের পর শুক্রবার সকালে ঝালকাঠি লঞ্চ টার্মিনাল থেকে ‘অ্যাডভেঞ্চার-৯’ নামের লঞ্চটি আটক করা হয়। এ সময় লঞ্চটির চার কর্মীকেও সদর থানা পুলিশ হেফাজতে নেয়।
বিজ্ঞাপন
সদরঘাট নৌ-পুলিশের ডিউটি অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ঘন কুয়াশার কারণে নৌপথে দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে এবং এতে হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।
চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএর উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) বাবু লাল বৈদ্য জানান, ভোলার ঘোষেরহাট থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী এমভি জাকির সম্রাট-৩ লঞ্চটি হাইমচর এলাকা অতিক্রম করার সময় ঢাকা থেকে বরিশালগামী এমভি অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে এমভি কর্ণফুলী-৯ লঞ্চের মাধ্যমে জাকির সম্রাট-৩ এর যাত্রীদের ঢাকায় পাঠানো হয়।
বিজ্ঞাপন
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপির একটি জনসভা শেষে ঢাকায় থেকে ঝালকাঠিতে ফেরার পথে দলের কিছু নেতাকর্মী ‘অ্যাডভেঞ্চার-৯’ লঞ্চে অবস্থান করছিলেন। রাত আনুমানিক ২টার দিকে হাইমচর এলাকায় পৌঁছালে দুটি লঞ্চের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঝালকাঠিগামী অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চটির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত নিহতদের নাম, পরিচয় ও সঠিক সংখ্যা নিশ্চিত করা যায়নি। তবে গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী নিহতের সংখ্যা ৮ জন বলে জানা গেছে।
বিজ্ঞাপন
বরিশাল নৌ-পুলিশের পুলিশ সুপার এস এম নাজমুল হক জানান, চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে সংঘটিত ভয়াবহ দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরপরই অ্যাডভেঞ্চার–৯ লঞ্চটির অবস্থান শনাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে লঞ্চটি ঝালকাঠিতে পৌঁছালে সেটি জব্দ করা হয়। ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
ঝালকাঠি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইমতিয়াজ মাহমুদ জানান, লঞ্চটি ঝালকাঠিতে নোঙর করার পর সারেং, সুকানি, সুপারভাইজার ও ইঞ্জিন চালক পালিয়ে যান। পরে চারজন কেবিন বয়কে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
দুর্ঘটনায় আহতরা বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।এ ঘটনায় নৌ-পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তদন্ত শুরু করেছে।








