মালয়েশিয়ায় পাচারকালে টেকনাফে উদ্ধার ১৭

কক্সবাজারের টেকনাফে সমুদ্রপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া পাচারের প্রস্তুতিকালে ১৭ জন ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বিজ্ঞাপন
একই অভিযানে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে ছদ্মবেশে দেশত্যাগের চেষ্টা করার সময় এক চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রোববার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিজিবি টেকনাফ ব্যাটালিয়নের (২ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান।
তিনি জানান, গত ২৬ ডিসেম্বর দিবাগত রাত আনুমানিক সোয়া ১টার দিকে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন রাজারছড়া এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
বিজ্ঞাপন
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবি জানতে পারে, একটি সংঘবদ্ধ পাচারকারী চক্র রাজারছড়া এলাকা দিয়ে ট্রলারে করে লোকজনকে মালয়েশিয়ায় পাচারের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
বিজিবির একটি বিশেষ টহল দল রাজারছড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পাশের ঝোপঝাড়ে অবস্থান নেয়। গভীর রাতে পাচারকারীরা ভুক্তভোগীদের নৌকায় তোলার সময় বিজিবি চারদিক থেকে অভিযান চালায়। এ সময় পাচারকারী দালালরা সাঁতরে পালিয়ে লোকালয়ে আত্মগোপন করে।
বিজ্ঞাপন
পরবর্তীতে ট্রলারটি তল্লাশি চালিয়ে ১৮ জনকে উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ৭ জন পুরুষ, ৪ জন নারী এবং ৭ জন শিশু রয়েছে। উদ্ধারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা দালালদের প্রলোভনে পড়ে অবৈধভাবে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।
বিজিবি সদস্যরা উদ্ধারকৃতদের পরিচয় যাচাই করতে গিয়ে মো. তারেক (২০) নামের এক তরুণের আচরণ সন্দেহজনক মনে হলে টেকনাফ মডেল থানার নথির সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয়।
বিজ্ঞাপন
এতে নিশ্চিত হওয়া যায়, তারেক একটি হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি, যিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে সাগরপথে দেশত্যাগের চেষ্টা করছিলেন।
গ্রেপ্তারকৃত তারেক টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের লম্বাবিল (ঘোনারপাড়া) এলাকার আলী আহমদের ছেলে। উদ্ধারকৃত ভুক্তভোগী ও গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে আইনগত প্রক্রিয়া শেষে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।








