জুড়ীতে বসতঘরে মা-ছেলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় বসতঘরের আড়ায় দুইটি ওড়নায় ঝুলন্ত অবস্থায় এক গৃহবধূ ও তার চার বছর বয়সী ছেলের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বিজ্ঞাপন
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জুড়ী উপজেলার সাগরনাল ইউনিয়নের উত্তর বড়ডহর গ্রামে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহবধূ মরিয়ম আক্তার (২৫) ওই গ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী কুতুব উদ্দিনের স্ত্রী। তাঁর চার বছর বয়সী ছেলে আয়ান মোহাম্মদও এ ঘটনায় প্রাণ হারায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কুতুব উদ্দিনের স্থানীয় সমাই বাজারে একটি বৈদ্যুতিক সামগ্রীর দোকান রয়েছে। প্রায় চার বছর আগে মরিয়ম আক্তারের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তারা টিনশেডের আধা পাকা একটি ঘরে বসবাস করতেন। বাড়ির আশপাশে কুতুব উদ্দিনের পরিবারের অন্য সদস্যদের ঘর রয়েছে।
বিজ্ঞাপন
গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পাশের ঘরের লোকজন মরিয়মকে ডাকাডাকি করেন। দীর্ঘ সময় কোনো সাড়া না পেয়ে জানালার ফাঁক দিয়ে ভেতরে তাকিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে দুটি ওড়নায় মরিয়ম ও তার শিশু সন্তানের লাশ ঝুলতে দেখতে পান। এ সময় কুতুব উদ্দিন দোকানে ছিলেন বলে স্থানীয়রা জানান।
খবর পেয়ে রাত ৮টার দিকে জুড়ী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে মা ও ছেলের লাশ উদ্ধার করে। তবে ঘটনাস্থলে মরিয়মের স্বামী কুতুব উদ্দিনকে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে একাধিকবার চেষ্টা করা হলেও তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
বিজ্ঞাপন
জুড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাসির উদ্দিন আজ সোমবার সকালে বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় মা ও সন্তানের শরীরে ফাঁসের দাগ ছাড়া অন্য কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, সন্তানকে ফাঁস দেওয়ার পর মরিয়ম নিজেও ফাঁস নিতে পারেন। পারিবারিক কলহের জেরেও এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
তিনি আরও জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মা ও ছেলের লাশ মৌলভীবাজার জেলা সদরের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।






