Logo

ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় স্থবির চুয়াডাঙ্গা

profile picture
জেলা প্রতিনিধি
চুয়াডাঙ্গা
৩১ ডিসেম্বর, ২০২৫, ১২:০৭
7Shares
ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় স্থবির চুয়াডাঙ্গা
ছবি: জনবাণী।

হাড় কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গা। এক দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রিরও বেশি কমে যাওয়ায় স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের প্রভাবে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন ছিন্নমূল, অসহায় ও দিন আনা দিন খাওয়া মানুষজন।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন ৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর, যা চলতি মৌসুমে জেলার সর্বনিম্ন। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ। জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, যা আগামী দু-এক দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

এর আগে, মঙ্গলবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাৎ এক দিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা কমেছে ৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা মানুষের জীবনযাত্রায় হঠাৎ করেই চরম দুর্ভোগ ডেকে এনেছে।

বিজ্ঞাপন

ভোর থেকেই ঘন কুয়াশা ও হিমশীতল বাতাসে রাস্তাঘাট প্রায় ফাঁকা হয়ে পড়েছে। প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া মানুষ ঘরের বাইরে বের হতে চাইছেন না। তবে জীবিকার তাগিদে ঠান্ডা উপেক্ষা করে কাজে বের হতে হচ্ছে খেটে খাওয়া মানুষদের। জেলার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে ও চায়ের দোকানের সামনে খড়কুটো, কাঠ ও পুরনো টায়ার জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে নিম্নআয়ের মানুষদের।

ভ্যানচালক আকাশ বলেন, “শীত খুব বেশি পড়ছে। ভোরে ভ্যান নিয়ে বের হলে মনে হয় হাত-পা জমে যাচ্ছে। যাত্রীও কম, আয় কমে গেছে। তবুও সংসার চালাতে হলে এই কনকনে ঠান্ডার মধ্যেই রাস্তায় নামতে হচ্ছে।”

দিনমজুররা বলেন, এক দিন কাজ না করলে সংসার চলবে না। তাই প্রচণ্ড ঠান্ডার মধ্যেও কাজে বের হয়েছি। আজ ঠান্ডা বেশি, হাত-পা অবশ হয়ে আসছে। তারপরও পরিবারের জন্য কাজ করতে হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

একজন হোটেল কর্মচারী বলেন, প্রতিদিন সকালে নাশতার চাপ থাকে। তাই ফজরের আজানের পর থেকেই কাজ শুরু করতে হয়। ভোরে পানিতে হাত দিলে আঙুল নাড়ানো যায় না। তারপরও পেটের দায়ে কাজ করছি।

শীতের তীব্র প্রভাব পড়তে শুরু করেছে স্বাস্থ্যখাতেও। সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। বিশেষ করে শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, ঠান্ডাজনিত জ্বর ও ডায়রিয়ায়।

বিজ্ঞাপন

চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি আরও দু-এক দিন অব্যাহত থাকতে পারে। রাত ও ভোরে শীতের তীব্রতা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

জেবি/এসডি
Logo

সম্পাদক ও প্রকাশকঃ

মোঃ শফিকুল ইসলাম ( শফিক )

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ৫৭, ময়মনসিংহ লেন, ২০ লিংক রোড, বাংলামটর, ঢাকা-১০০০।

ফোনঃ 02-44615293

ই-মেইলঃ dailyjanobaninews@gmail.com; dailyjanobaniad@gmail.com

জনবাণী এর সকল স্বত্ব সংরক্ষিত। কপিরাইট © ২০২৫

Developed by: AB Infotech LTD