কলাপাড়ায় আমনের বাম্পার ফলন

পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় গত বছরের তুলনায় এ বছর আমনের বাম্পার ফলনে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে।
বিজ্ঞাপন
লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ হেক্টর কম জমিতে আবাদ হয়েছে আমনের। তবে কিছু এলাকায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি জমিতে আমন চাষ হয়েছে। উৎপাদনও বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার নাহিদ ইসলাম।
কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর এ উপজেলায় আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩০ হাজার ৬৯৮ হেক্টর। লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে ৩০ হাজার ৬৯৭ হেক্টর। তবে বাম্পার ফলনে এই সামান্য পার্থক্য পূরণ হয়ে যাবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন: চবিতে মদ তৈরির গোপন কারখানা, আটক ২
বিজ্ঞাপন
গাছে হলুদ ও সোনালি ধানের ছড়ার শিহরণে পটুয়াখালির কলাপাড়া উপজেলার কৃষকের চোখে-মুখে ফুটে উঠছে উচ্ছলতা। পাকা ধানগুলো নুইয়ে জানাচ্ছে ভালো ফলনের ইঙ্গিত। আমনের বাম্পার ফলন ঘরে তোলায় এখন ব্যস্ত আছেন এখানকার কৃষকরা। এক কথায়, দক্ষিণের কলাপাড়া উপকূলের সর্বত্র এবছর আমনের বাম্পার ফলনের উজ্জল সম্ভাবনা বাস্তবে পরিণত হয়েছে।এতে খুশি কৃষকরা।
উপজেলার চম্পাপুর ইউনিয়নের দৌলতপুরের কৃষক সোহেল বাদশা বলেন, যতটুকু ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা ছিল লবণাক্ততা বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে, সেটা হয়নি। ফসল ভালো হওয়ায় আমরা অনেক খুশি।
কুয়াকাটা এলাকার কৃষক বায়েজীদ বলেন, ‘এ বছর আমনের দাম ভালো আছে। তবে ফলন নিয়ে স্বস্তি থাকলেও তেল, সার ও কীটনাশকের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিগত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর ধান উৎপাদনে খরচ হয়েছে অনেক বেশি। তাই আমরা যাতে ন্যায্যমূল্য পাই সে বিষয় সবার সহযোগিতা চাই।’
বিজ্ঞাপন
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এ বছর আবহাওয়া ছিল পুরোপুরি অনুকূলে। আমরা সময়মতো সঠিক পরামর্শ ও সহায়তা প্রদান করেছি। এবছর ৭০ শতাংশ জায়গায় উচ্চ ফলনশীল জাতের ধানের আবাদ হয়েছে।প্রতি বিঘায় উৎপাদন গত বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি। এই ফলন ঘাটতি পূরণ করে বাজারে স্থিতিশীলতা আনবে বলে অভিমত এই কর্মকর্তার।’








