চাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচনের ভোটপ্রক্রিয়ার প্রস্তুতি: চবি উপাচার্য

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা জাতীয় নির্বাচনের অভিজ্ঞতা অর্জন করছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করে তিনি সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। উপাচার্য বলেন, “বিগত জাতীয় নির্বাচনে অনেক মানুষ ভোট দিতে পারেননি। যেসব শিক্ষার্থী এখন ২৪ থেকে ২৭ বছরের, তারা জীবনে একবারও ভোট দিতে পারেনি। তাই আজকের ভোট তাদের জন্য জীবনের প্রথম ভোটের অভিজ্ঞতা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ এবং ভবিষ্যতে জাতীয় নির্বাচনে কাজে লাগবে।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “এবার আমরা ওএমআর (OMR) পদ্ধতি ব্যবহার করেছি, যা দ্রুত ফলাফল প্রকাশে সাহায্য করবে। শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে এই পদ্ধতির সঙ্গে পরিচিত, তাই তাদের জন্য এটি সহজ এবং স্বাভাবিক।”
আরও পড়ুন: মুছে যাচ্ছে কালি, অভিযোগ দেবে ছাত্রদল
বিজ্ঞাপন
নিরাপত্তা সংক্রান্ত ব্যবস্থা প্রসঙ্গে উপাচার্য জানান, “নির্বাচনে চার স্তরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। র্যাব, পুলিশ ও সিভিল প্রশাসন সঙ্গে একাধিক সমন্বয় সভা হয়েছে। তবে আসল নিরাপত্তা শিক্ষার্থীদের হাতে। তারা যদি শান্তিপূর্ণ ও আনন্দমুখর পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন করতে চায়, তবে বাহিনী প্রয়োজন হয় না। ক্যাম্পেইন চলাকালীন শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা আমাদের আনন্দিত করেছে।”
তিনি আরও জানান, ভোটগ্রহণ চলাকালীন কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। “আমি নিজে প্রতিটি কেন্দ্র পরিদর্শন করেছি এবং ভোটারদের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের কেউ কোনো সমস্যার কথা বলেনি। প্রিজাইডিং অফিসার, রিটার্নিং অফিসার ও পোলিং অফিসার থেকেও অভিযোগ পাওয়া যায়নি। আশা করছি বিকেল ৪টার আগে ভোটগ্রহণ শেষ হবে।”
বিজ্ঞাপন
উল্লেখ্য, এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ২৭,৫১৬ জন, যার মধ্যে ছাত্রী ১১,১৫৬ জন। মোট প্রার্থী হয়েছেন ৯০৮ জন। কেন্দ্রীয় সংসদে ২৬টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪১৫ জন, আর ১৪টি হল ও একটি হোস্টেলে লড়ছেন ৪৯৩ জন।
কেন্দ্রীয় সংসদের সহসভাপতি পদে ২৪ জন, সাধারণ সম্পাদক পদে ২২ জন ও সহসাধারণ সম্পাদক পদে ২২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রতিটি হলে ১৪টি করে পদ রয়েছে, তাই ১৪টি হল ও একটি হোস্টেলে মোট ২১০টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ছাত্রীদের পাঁচটি আবাসিক হলে ৭০টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১২৩ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ১৬টি পদে একজন প্রার্থী হওয়ায় সেখানে ভোট হচ্ছে না, ফলে মোট ৫৩টি পদে ভোটগ্রহণ চলছে।