রাকসু নির্বাচনে আঙুলের কালি মুছে যাওয়ার অভিযোগ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল ও সিনেট নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলাকালে ব্যবহৃত কালি নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে নানা প্রশ্ন। অভিযোগ উঠেছে—ভোটের পর আঙুলে দেওয়া অমোচনীয় কালি কয়েক মিনিটের মধ্যেই মুছে যাচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ৯টার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে এমন অভিযোগ শোনা যায়। অনেকেই দাবি করেছেন, কালি লাগানোর কিছুক্ষণ পর হাত ঘষলেই তা উঠে যাচ্ছে।
ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের সাংস্কৃতিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল কাফী বলেন, “আমি হাবিবুর রহমান হলে ভোট দিয়েছি। কিন্তু ভোট দিয়ে বের হয়েই দেখি কালি মুছে গেছে। এমনকি পানি ব্যবহারও করতে হয়নি।”
বিজ্ঞাপন
জিয়াউর রহমান হলের ভোটার আকিব বলেন, “ভোট শান্তিপূর্ণভাবে চলছে, তবে কালি অমোচনীয় নয়—এটা উদ্বেগের বিষয়। এতে ভোটের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হতে পারে। আশা করি নির্বাচন কমিশন দ্রুত পদক্ষেপ নেবে।”
রহমতুন্নেসা হলের ফাইন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী আশফিয়া তাবাসসুম জানান, “ভোটের প্রক্রিয়া সুন্দর ছিল, কিন্তু বের হয়ে দেখি আঙুলের কালি সহজেই উঠে গেছে। এটা মোটেও স্বাভাবিক নয়।”
সিনেট প্রার্থী মীর কাদিরও একই অভিযোগ তুলে বলেন, “আমার বেশ কয়েকজন সমর্থক জানিয়েছেন, তাদের আঙুলের কালি উঠে গেছে। এটি নির্বাচনী গাফিলতি। কমিশনের তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।”
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
কালি নিয়ে এমন অভিযোগ ছড়িয়ে পড়ায় ভোটকেন্দ্রগুলোর বাইরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা চলছে। অনেকে মনে করছেন, এ ধরনের ত্রুটি নির্বাচনের সুষ্ঠুতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলবে।