তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিষয়ে আপিলের চতুর্থ দিনের শুনানি চলছে

সংবিধান থেকে বিলুপ্ত নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে করা আপিলের চতুর্থ দিনের শুনানি চলছে আপিল বিভাগে। জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে শুনানি করছেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের সাত সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এই শুনানি শুরু হয়।
এর আগে গত ২৩ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয়েছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরানোর আপিলের তৃতীয় দিনের শুনানি। সেদিন ইন্টারভেনর হিসেবে যুক্ত হয়ে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিকী। দ্বিতীয় দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয় ২২ অক্টোবর, যেখানে রিটকারী বদিউল আলম মজুমদারের পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া। প্রথম দিনের শুনানি হয় ২১ অক্টোবর।
বিজ্ঞাপন
উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ১০ মে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী যার মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা চালু হয়েছিল তা বাতিল ঘোষণা করেন। এরপর ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে পাস হয় পঞ্চদশ সংশোধনী আইন, যা তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে সংবিধান থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাদ দেয়।
তবে ২০২৪ সালে নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় ওই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি। এদের মধ্যে আছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান। পরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারও আলাদা করে পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন।
বিজ্ঞাপন
এছাড়া নওগাঁর রানীনগরের মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেনও আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার পক্ষে এবং বিপক্ষে উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনে আদালতের রায়ই নির্ধারণ করবে, বাংলাদেশের নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা নতুন কোনো পথে এগোবে কি না।








