নিজের বিচার সরাসরি টেলিভিশনে সম্প্রচারের আবেদন ইনুর

জুলাই-আগস্ট আন্দোলনকে কেন্দ্র করে কুষ্টিয়ায় ছয়জন নিহত, উসকানি ও ষড়যন্ত্রসহ আটটি অভিযোগের দায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে চলমান বিচারকার্য টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করার জন্য নিজ আইনজীবীর মাধ্যমে আবেদন জানিয়েছেন ইনু।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেলে ইনুর আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী এই আবেদন করেন। বিচারকরা শুনানি শেষে পরবর্তী নির্দেশনা দেবেন।
ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করছেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও প্রসিকিউটর ফারুক আহাম্মদসহ অন্যান্য কর্মকর্তা। ইতোমধ্যেই মামলায় ষষ্ঠ দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক আনিস আলমগীর ৫ দিনের রিমান্ডে
বিজ্ঞাপন
পঞ্চম দিনের মতো কাশিমপুর কারাগার-২ এর সাবেক ডেপুটি জেলা কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনি পঞ্চম নম্বর ও জব্দ তালিকার সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। এর আগে ১৪ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশে সংস্কৃতি উপদেষ্টা ও স্বাস্থ্য বিশেষ সহকারীদের মাধ্যমে ইনুকে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসার জন্য পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
মামলায় প্রথম সাক্ষী হিসেবে মো. রাইসুল হক জবানবন্দি দেন। তিনি জানান, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় ইনু ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানোর প্রত্যক্ষ নির্দেশদাতা ও উসকানিদাতা ছিলেন। ওই সময় কুষ্টিয়া শহরে ছয়জন শহীদ হয়েছেন।
ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ৩০ নভেম্বর মামলার সূচনা বক্তব্য দেন। একই দিনে ইনুর করা রিভিউ আবেদনের ওপর শুনানি হয় এবং তা খারিজ করা হয়। ২ নভেম্বর ট্রাইব্যুনাল ইনুর বিরুদ্ধে আটটি অভিযোগ গঠন করে বিচার কার্য শুরু করার আদেশ দেয়।
বিজ্ঞাপন
উল্লেখ্য, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট কুষ্টিয়ার বিভিন্ন স্থানে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানো হয়। এই ঘটনায় নিহত হয়েছেন শ্রমিক আশরাফুল ইসলাম, সুরুজ আলী বাবু, শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল মুস্তাকিন, উসামা, ব্যবসায়ী বাবলু ফরাজী এবং চাকরিজীবী ইউসুফ শেখ। আহত হন আরও অনেকে। মামলার তদন্ত সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইনুর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।








