ভিডিও কনফারেন্সে বাইডেনকে হুমকি দিলেন জিনপিং


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


ভিডিও কনফারেন্সে বাইডেনকে হুমকি দিলেন জিনপিং

বর্তমান বিশ্বের ক্ষমতাধর দুটি দেশের নাম যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। দুটি দেশই এশিয়ার রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করতে চায়। আর এ নিয়েই দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে উত্তেজনা দেখে যায়। এবার চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে তাইওয়ান প্রসঙ্গে ‘আগুন নিয়ে খেলা’ না করতে সতর্ক করেছেন। 

বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) দুই নেতার মধ্যে অনুষ্ঠিত এক ভিডিও কনফারেন্সের সময় এই আহ্বান জানান জিনপিং। চীন দাবিকৃত এই দ্বীপে যুক্তরাষ্ট্রের হাউজ স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সম্ভাব্য সফর ঘিরে বেইজিংয়ের উদ্বেগ বেড়েছে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, আগামী সপ্তাহেই এশিয়া সফরে যাওয়ার কথা ন্যান্সির। আর সেই সফরেই তাইওয়ানেও যেতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন তিনি। ইতিমধ্যেই ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের তিনি আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তার সঙ্গে তাইওয়ানে যাওয়ার জন্য। যদি শেষ পর্যন্ত তিনি তাইওয়ান যান, তাহলে গত ২৫ বছরের মধ্যে তিনিই হবেন প্রথম হাউজ স্পিকার যিনি সেই দেশের মাটিতে পা রাখবেন।

চীনের রাষ্ট্রীয় মিডিয়া জানিয়েছে যে, ‘জিনপিং মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বলেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের ‘এক-চীন নীতি’ মেনে চলা উচিত এবং এটা বোঝা উচিত যে, চীন তাইওয়ানের স্বাধীনতা এবং সেখানে বহিরাগত শক্তির প্রবেশের বিরুদ্ধে।’ 

চীনা গণমাধ্যমের ভাষ্য অনুযায়ী, জিনপিং বাইডেনকে আরো বলেছেন, “যারা আগুন নিয়ে খেলবে তারাই পুড়ে যাবে। আমরা আশা করি, যুক্তরাষ্ট্র বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবে।”

ধারণা করা হচ্ছে, মানবাধিকার ইসু্যতে বেইজিংয়ের দীর্ঘদিনের সমালোচক পেলোসি তাইওয়ান সফরে গেলে চীন সেটাকে পরাজয় হিসেবে দেখবে। জানা গেছে, দুই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলে বাইডেন-জিনপিংয়ের এই কল। মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছিলেন যে, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার নিন্দা জানাবেন বাইডেন। চীন এখনো এই হামলার নিন্দা জানায়নি। বাইডেন প্রশাসন মনে করে, চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সরাসরি কথা বললে তাইওয়ান প্রসঙ্গে উত্তেজনা প্রশমন হতে পারে।

হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে এই ভিডিও সংলাপ নিয়ে খুব সংক্ষিপ্ত এক বিবৃতি দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, ‘বাইডেন বলেছেন যে, তাইওয়ানের বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীতি পরিবর্তিত হয়নি এবং ওয়শিংটন সেখানে স্হিতাবস্হা পরিবর্তন করার বা তাইওয়ান প্রণালি জুড়ে শান্তি ও স্হিতিশীলতা নষ্ট করার একতরফা প্রচেষ্টার দৃঢ় বিরোধিতা করে।’

এসএ/