মুদ্রাস্ফীতিতে অচল ব্রিটেন!


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


মুদ্রাস্ফীতিতে অচল ব্রিটেন!

ব্রিটেনে গেলো চার দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় মুদ্রাস্ফীতির ঘটনা ঘটেছে। জুলাই মাসে এ হার লাফিয়ে ১০ দশমিক ১ শতাংশে পৌঁছায়। 

ফাইন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৮২ সালের ফেব্রুয়ারির পর ভোক্তা মূল্যস্ফীতি চলতি জুন মাসে ৯ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে বেড়ে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে৷ 

এদিকে জুলাই মাসে যুক্তরাজ্যে পণ্যের দাম বৃদ্ধির ফলে অন্যান্য জি-সেভেন দেশের তুলনায় দেশটির মুদ্রাস্ফীতির হার বেশি ছিল। বুধবার ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। 

ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী নাদিম জাহাবি বলেন, “মুদ্রাস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণে আনা তার শীর্ষ অগ্রাধিকারে রয়েছে। ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের মতে, ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রায় আগ্রাসনই মুদ্রাস্ফীতির প্রধান কারণ হয়ে উঠেছে। এ কারণে ইউরোপে জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন ব্রিটেনেও মুদ্রাস্ফীতি দীর্ঘস্থায়ী হবে বলে মনে করা হচ্ছে।”

ব্রিটেনের অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকসের তথ্য মতে, শুধুমাত্র জুলাই মাসেই পণ্যের দাম দশমিক ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ছে। 

ওএনএস -এর প্রধান অর্থনীতিবিদ গ্রান্ট ফিটজনার বলছেন, “মূল্য বৃদ্ধির বিস্তৃত পরিসর এই মাসে আবারও মূল্যস্ফীতি বাড়িয়েছে।”

তিনি উল্লেখ করেন যে, “রুটি, দুগ্ধজাত পণ্য, মাংস এবং শাকসবজি হল মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখে এমন পণ্য। এছাড়া বিমানবন্দরে বিশৃঙ্খলা এবং ফ্লাইটের সীমিত সরবরাহের কারণে, সব কিছুর দাম ২০২১ সালের তুলনায় এ বছর অনেক দ্রুত বেড়েছে।”

জুলাই মাসে খাদ্যমূল্যের মূল্যস্ফীতি ১২ দশমিক ৭ শতাংশে পৌঁছেছে, যা ২০ বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ।

এর ফলে কমতে পারে পুষ্টি সরবরাহ। নাগরিকদের জন্য আরও কঠিন হয়ে উঠতে পারে পরিস্থিতি। অন্যদিকে যুক্তরাজ্য জুড়ে চলছে খরা। এর দলে ফসলের ক্ষতি হলে বিপদে পড়বে সাধারণ নাগরিক। 

প্যানথিয়ন ম্যাক্রোইকোনমিক্সের প্রধান ও যুক্তরাজ্যের বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ স্যামুয়েল টম্বস বলেছেন, “পণ্যের দাম যে হারে বাড়ছে তাতে পরিস্থিতি আরও জটিল অবস্থায় পৌঁছাতে পারে।” 

যদিও সমস্ত উন্নত দেশেই মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে এবং অন্যান্য ইউরোপীয় দেশের তুলনায় যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি এখনও শক্তিশালী বলে মনে করে সংশ্লিষ্টরা।

এসএ/