বিএনপির প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা: প্রধানমন্ত্রী


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


বিএনপির প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি সরকারের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছে।

রবিবার (২১ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতেই বিএনপি-জামায়াত তথা চারদলীয় জোট সরকার রাষ্টযন্ত্র ব্যবহার করে নৃশংসতম এই গ্রেনেড হামলা চালায়। যারা গণতন্ত্রের কথা বলে, তাহলে এটা কীসের গণতন্ত্র? একটা প্রকাশ্য জনসভায় কীভাবে আর্জেস গ্রেনেড মারতে পারে?

তিনি বলেছেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সহায়তায় নৃশংস ওই হত্যাকাণ্ড হয়েছিল। কোনো সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া এ জাতীয় ঘটনা ঘটতে পারে না। লক্ষ্যটা ছিল আমাকেই হত্যা করা, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের; মানে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আক্রমণকারীদের রক্ষা করার জন্য সেদিন ভয়াবহতার মধ্যেই পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ারগ্যাস ছুড়েছে। সব আলামত সিটি করপোরেশনের গাড়ি দিয়ে ধুয়ে নষ্ট করা হয়েছে। একটা গ্রেনেড অবিস্ফোরিত থেকে যায়, সেটিও সংরক্ষণের কথা বলায় একজন অফিসারকে ধমকানো হয়। পরে তাকে নির্যাতনও করা হয়েছে। 

তিনি আরও বলেন, এখানে একজন কারারক্ষী জড়িত ছিল। ওইদিন রাতেই খালেদা জিয়া চারজনকে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসে করে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ওই কারারক্ষীও ছিলেন।
২০০৪ সালের এই দিনে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস বিরোধী শান্তিপূর্ণ সমাবেশে এই নজির বিহীন গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে হিংসার দানবীয় সন্ত্রাস আক্রান্ত করে মানবতা। আক্রান্ত হন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ওই ঘটনায় দলীয় নেতাকর্মীরা মানববর্ম রচনা করে শেখ হাসিনাকে রক্ষা করলেও গ্রেনেডের আঘাতে আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ মোট ২৪ জন নেতাকর্মী প্রাণ হারান।  

ইতিহাসের জঘন্যতম গ্রেনেড হামলার ১৮তম বার্ষিকীতে শ্রদ্ধাবনতচিত্তে হামলায় নিহতদের স্মরণ করছে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। নারকীয় গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদ ও নিহতদের স্মরণে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় আরও বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, নুরুল ইসলাম নাহিদ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম প্রমুখ। এছাড়াও মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্যসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।

ওআ/