নিরাপত্তা শুধু কাগজে-কলমে নয়, বাস্তবে নিশ্চিত করতে হবে: আতিক


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


নিরাপত্তা শুধু কাগজে-কলমে নয়, বাস্তবে নিশ্চিত করতে হবে: আতিক

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, উন্নয়ন প্রকল্পের নিরাপত্তা শুধু কাগজে-কলমে নয়, বরং বাস্তবে নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিটি প্রকল্পের ঠিকাদারকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই কাজ চালাতে হবে। নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে দৈনিক ও সাপ্তাহিক ভিত্তিতে মিটিং করতে হবে। নো সেফটি, নো ওয়ার্ক। নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে দেবে।

শনিবারও গাজীপুরে বিআরটি প্রকল্পের কাজ চলার সময় একটি প্রাইভেটকারের উপরে রড পড়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের এখনও টনক নড়ে নাই, আর কত প্রাণ গেলে আমাদের টনক নড়বে? সরকারকে বিব্রত করা যাবে না, জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলা যাবে না।’

রোববার (২১ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকায় বিভিন্ন সংস্থার চলমান উন্নয়ন প্রকল্পে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ঢাকা উত্তরের মেয়র।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, বিআরটির সহ সকল উন্নয়ন কাজ চলবে। তবে, প্রত্যেককে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিক না থাকলে আমরা ব্যবস্থা নেব। বিআরটি, মেট্রোরেল, এলিভেটর এক্সপ্রেস ওয়েসহ যত রকমের উন্নয়ন প্রকল্প চলছে এসব কাজ বন্ধ করা যাবে না। তবে শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আমি ভ্রাম্যমাণ আদালতসহ যেকোনো দিন যেকোনো স্থানে উপস্থিত হব। যদি দেখতে পাই সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়নি। তাহলে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

তিনি বলেন, আমি চাই নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগে যেন আমাদের কোনো কাজ বন্ধ করে দিতে না হয়। সব কাজেই নিরাপত্তা নিশ্চিত আপনাদের করতে হবে। সব নিরাপত্তার বিষয়ই কাগজে-কলমে, চুক্তিতে আছে। এগুলো সঠিকভাবে মানা হচ্ছে না। এগুলো নিশ্চিত করুন। তাহলে আপনাদের কাজ করতে কোনো সমস্যা হবে না। কাজ বন্ধ করে দেব না, কাজ চলবে। তবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে সবার আগে। আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়মিত এসব পরিদর্শন করবে।

ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজার সঞ্চালনায় সড়ক পরিবহন ও  মহাসড়ক বিভাগ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, সেতু কর্তৃপক্ষ, ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ, গণপূর্ত অধিদপ্তর, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, ঢাকা ওয়াসা, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি, ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি, তিতাস গ্যাস, ঢাকা বিআরটি কোম্পানি, এমআরটি লাইন ১-৫ এসব সংস্থার পক্ষ থেকে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ওআ/