কে হচ্ছেন ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী?
নিজস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১:৪৬ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২
পদত্যাগ করা যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বিদায়ের সময় ঘনিয়ে আসছে- সেই সঙ্গে এগিয়ে আসছে দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী বেছে নেওয়ার সময়।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, কনজারভেটিভ পার্টির পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রাস (৪৭) অথবা সেই দলের সাবেক চ্যান্সেলর রিশি সুনাক (৪২)— দু’জনের মধ্যে কে যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন, তা জানা যাবে আগামী সোমবার সন্ধ্যায়।
লকডাউনের বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে মদের পার্টি কেলেঙ্কারি, উচ্চ মূল্যস্ফীতিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে প্রচণ্ড চাপের মুখে থাকা বরিস জনসন গত ৭ জুলাই ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অব্যাহতি নিতে বাধ্য হন। তার পদত্যাগের পর শুরু হয় দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী বাছাইয়ের প্রক্রিয়া।
যুক্তরাজ্যের সংবিধান অনুযায়ী, কোনো প্রধানমন্ত্রী যদি তার মেয়াদ পূর্ণ করার আগেই ক্ষমতাচ্যুত হন, সেক্ষেত্রে সরকারি দলের আগ্রহী প্রার্থীরা প্রধানমন্ত্রীর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য এগিয়ে যান। ক্ষমতাসীন দলের অন্তত দুই জন আইনপ্রণেতার সমর্থন রয়েছে— এমন যে কোনো পার্লামেন্ট সদস্য বর্তমান পরিস্থিতিতে নিজেকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করতে পারেন।
নতুন প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীদের তারপর যেতে হয় বেশ কয়েক দফা ভোটে। যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট হাউস অব কমন্সের সরকারি দলের আইনপ্রণেতারা গোপন ব্যালটে ভোট দেবেন। সেসব ভোটের ফলাফলের গড় হিসাব করে যে প্রার্থী সবচেয়ে কম ভোট পাবেন, তার প্রার্থিতা বাতিল হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত প্রার্থীর সংখ্যা ২ জনে এসে না ঠেকছে ততক্ষণ চলতেই থাকবে এই ভোট।
সরকারি দলের আইন প্রণেতাদের ভোটে একটি বড় সময় পর্যন্ত এগিয়ে ছিলেন তিন জন— রিশি সুনাক, লিজ ট্রাস এবং বর্তমান সরকারের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়ক মন্ত্রী পেনি মরডাউন্ট। তবে শেষ পর্যন্ত মরডাউন্ট এই দৌড় থেকে ছিটকে পড়েন, টিকে থাকেন ট্রাস ও সুনাক।
নিজেদের পক্ষে ভোট টানতে উভয়ই ভোটারদের একাধিখ আকর্ষণীয় প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। লিজ ট্রাস বলেছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী হলে যুক্তরাজ্য থেকে লিঙ্গ বৈষম্য নির্মূল, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ, কর ব্যবস্থার সংস্কার ও জনগণের জীবনমান বৃদ্ধির দিকে মনযোগী হবেন।
অন্যদিকে রিশি সুনাক প্রাধান্য দিয়েছেন দেশের অর্থনৈতিক সংস্কার, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বেকারত্ব দূর করা ও জীবনযাত্রার ব্যয় হ্রাসে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর।
পার্লামেন্ট সদস্যদের ভোটপর্ব শেষ হয়েছে বেশ আগেই; এবং চুড়ান্ত ফলাফলে দেখা গেছে— সুনাক ১৩৭ ভোট পেয়েছেন, ট্রাস পেয়েছেন ১১৩ ভোট।
পার্লামেন্টের বাইরে সরকারি দলের যেসব ভোটার আছেন, তাদের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে গত শুক্রবার। এই ভোটারদের মোট সংখ্যা প্রায় ১৬ লাখ।
তাদের ভোটের ওপরই এখন নির্ভর করছে— কে হবেন যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। সোমবার সেই ফলাফল জানা যাবে।
আরএইচ/