মস্তিষ্কে মেমোরি কার্ড বসানো ১৫ বানর মারা গেছে


Janobani

নিজস্ব প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০১:৪৫ অপরাহ্ন, ২২শে সেপ্টেম্বর ২০২২


মস্তিষ্কে মেমোরি কার্ড বসানো ১৫ বানর মারা গেছে

বানরের মস্কিষ্কে চিপ বা মেমোরি কার্ড স্থাপনের মাধ্যমে প্রযুক্তিকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে চেয়েছিলেন মার্কিন ধনকুবের এলন মাস্ক। বানরের পর মানুষের মস্তিকেও এই কার্ড বসানোর ঘোষণা দিয়েছিলো মাস্কের প্রতিষ্ঠান নিউরোটেক স্টার্টআপ নিউরালিংক।

কিন্তু ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত চলা এই গবেষণায় মোট ২৩টি বানরের মধ্যে অন্তত ১৫টি মারা গেছে বলে জানিয়েছে ইয়হু নিউজ ও নিউইয়র্ক পোস্টসহ একাধিক সংবাদমাধ্যম। আর এ নিয়েই শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। 

মানুষের মস্তিষ্কের আঘাত, মেরুদণ্ডের আঘাত, বিষণ্নতা এবং অন্যান্য মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাধি নিরাময়ে এবং মিউজিক স্ট্রিমিং থেকে কাছাকাছি-টেলিপ্যাথিক যোগাযোগ পর্যন্ত সবকিছুর জন্য মানুষকে ইন্টারনেটে সংযুক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল নিউরালিংক। ২০১৬ সালে কাজ শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিউরালিংকের পক্ষে ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ওই গবেষণা চালানো হয়। মোট ২৩টি বানরকে ব্যবহার করা হয় এ কাজে। যারমধ্যে অন্তত ১৫টি বানর মারা গেছে। 

গবেষণার সময় বানরের মস্তিষ্ক ছিদ্র করে চিপগুলো লাগানো হয়েছিল। শুরুতে তেমন সমস্যা দেখা না দিলেও ধীরে ধীরে বানরগুলোর মস্তিকে সংক্রমণ ও মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া শুরু হয় এবং বানরগুলো মারা যায়। আর ময়নাতদন্তে জানা গেছে, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণেই বানরগুলোর মৃত্যু হয়েছে।  

এমন পরিস্থিতে চটেছেন পশু অধিকার সংগঠনগুলো। তাদেরই একটা প্রতিষ্ঠান ফিজিসিয়ানস কমিটি ফর রেসপন্সিবল মেডিসিন। যারা ৭০০ পাতার একটি প্রতিবেদন তৈরি করেছে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মস্তিষ্কে চিপ লাগানোর পর অসুস্থ হয়ে পড়েছিল বানরগুলো। প্রাণীগুলো অনেক কষ্ট পেয়ছে। সে কারণেই তাদের মৃত্যু হয়। অন্য প্রাণীদের ওপর এটা অত্যাচার।   

এ বিষয়ে মার্কিন কৃষি বিভাগে অভিযোগ দায়ের করেছে ওই সংগঠন। তাতে এলন মাস্ক ও ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলা হয়েছে। ফলে আইনি প্রক্রিয়ার মুখে পড়তে হতে পারে উদ্যোগতাদের।

একইসাথে মস্কিষ্কে চিপ স্থাপনের গবেষণায় এটি একটি বিপর্যয়, এমনটাই বলছেন সংশ্লিষ্টরা।   

এসএ/